মসজিদে ঢুকে নোবিপ্রবির সহকারী রেজিস্ট্রারকে ছুরিকাঘাত
নোয়াখালী শহরের রশিদ কলোনি এলাকায় মসজিদে ঢুকে আবদুল কাদের ওরফে রহমান (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মসজিদের মুসল্লিরা হামলাকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
আজ সোমবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রশিদ কলোনির মুন্সি দিঘীর পাড় জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। আটক ওই ব্যক্তির নাম মো. ইউছুফ আলী ওরফে ভান্ডারী (৬০)।
হামলার শিকার মো. আবদুল কাদের নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সহকারী রেজিস্ট্রার। তিনি নোয়াখালী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রশিদ কলোনির রতন মিয়ার ছেলে। স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় নোয়াখালীর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ হামলার কারণ জানা যায়নি।
রশিদ কলোনি এলাকায় ইউছুফ আলী ভান্ডারীর একটি বড় গরুর খামার ছিল। ওই খামারের কারণে পরিবেশদূষণ হচ্ছিল। খামারটি বন্ধ করতে এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। তাতে আবদুল কাদেরেরও স্বাক্ষর ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ঘটনার জেরে কাদেরকে ছুরিকাঘাত করেছেন ইউছুফ।
আবদুল কাদেরের ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বড় ভাই আবদুল কাদের গত ২০ রমজান থেকে রশিদ কলোনির মুন্সি দিঘীর পাড় জামে মসজিদে ইতেকাফে অংশগ্রহণ করে আসছেন। সাত দিন ধরে মসজিদে অবস্থান করছেন। আজ জোহরের নামাজের সময় তিনি নামাজের লাইনে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে একই এলাকার মো. ইউছুফ আলী ওরফে ভান্ডারী (৬০) তাঁর বুক, পিটসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি ছুরিকাঘাত করে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় মসজিদের মুসল্লিরা তাঁকে ছোরাসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
আনোয়ার হোসেন বলেন, তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ইউছুফ আলীর কোনো বিরোধ নেই। তবে ইউছুফ আলী ভান্ডারীর রশিদ কলোনি এলাকায় একটি বড় গরুর খামার ছিল। ওই খামারের কারণে পরিবেশদূষণ হওয়ায় তাঁর খামারটি বন্ধ করার জন্য এলাকাবাসী বিভিন্ন অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগপত্রে তাঁর ভাই আবদুল কাদেরও একাত্মতা প্রকাশ করে স্বাক্ষর করেন। এ ঘটনার জেরে ইউসুফ তাঁর ভাইকে ছুরিকাঘাত করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্ত ইউছুফ আলীকে আটক করেছে। আহত ব্যক্তি কিংবা তাঁর পরিবার অভিযোগ দিলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।