মহাদেবপুরে কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, গ্রেপ্তার ১

সম্পর্ক গড়ে তুলে কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ
প্রতীকী ছবি

কলেজছাত্রীর (১৮) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে মুঠোফোনে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণ করেছিলেন সহপাঠী সাইদিস হাসান ওরফে সনি নামের এক যুবক (১৯)। সম্পর্ক দিন দিন গভীর হওয়ার একপর্যায়ে ছাত্রী তাঁদের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি দুই পরিবারকে জানিয়ে বিয়ের কথা বলেন সাইদিসকে। কিন্তু সাইদিস ওই তরুণীকে বিয়ে করতে পারবেন না এবং তাঁদের সম্পর্কের কথা কাউকে জানালে ধারণ করা আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন।

সম্পর্ক দিন দিন গভীর হওয়ার একপর্যায়ে ছাত্রী তাঁদের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি দুই পরিবারকে জানিয়ে বিয়ের কথা বলেন সাইদিসকে।

ঘটনা এখানেই শেষ নয়। সাইদিস তাঁর মুঠোফোনে ধারণ করা ওই কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও চিত্র আরেকটি নিরাপদ জায়গায় রেখে দেওয়ার জন্য সম্প্রতি তাঁর বন্ধু অভিজিৎ কুমারের মুঠোফোনে শেয়ার করেন। অভিজিৎ ঘটনার সুযোগ নেন। তিনি গত ২৮ মার্চ সেসব আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি ওই কলেজছাত্রীকে দেখান এবং সেগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কুপ্রস্তাব দেন। পরে উপায় না পেয়ে ওই কলেজছাত্রী তাঁর পরিবারের লোকজনকে সব জানিয়ে দেন।

কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজম উদ্দিন মাহমুদ, মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)

আজ মঙ্গলবার সকালে ওই কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সাইদিস হাসান ও তাঁর বন্ধু অভিজিৎ কুমারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি আইনের পৃথক ধারায় মহাদেবপুর থানায় মামলা করেন। মহাদেবপুর থানা-পুলিশ দুপুরে অভিযান চালিয়ে উপজেলার রাইগাঁ মধ্যপাড়া থেকে সাইদিস হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে।

মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামি পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।