মহাসড়কের জায়গায় বর্জ্য ফেলার সময় ৭ জনকে জরিমানা

গাজীপুরের শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় সড়ক ও জনপথের সতর্কবার্তা সংবলিত গণবিজ্ঞপ্তি
প্রথম আলো

গাজীপুরের শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জায়গায় বর্জ্য ফেলার সময় সাতজনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ অভিযান চলে। সড়ক ও জনপথের (সওজ) টাঙানো সতর্কবার্তাসংবলিত গণবিজ্ঞপ্তিকে তোয়াক্কা না করেই ময়লা ফেলছিলেন তাঁরা।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন গাজীপুর সওজের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুজ্জামান মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুদ্দিন, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জামিল আক্তার, উপসহকারী প্রকৌশলী রাজু আহমেদ, সার্ভেয়ার কাউসার খান প্রমুখ।

গাজীপুর সওজ উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জামিল আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচটি ভ্যানগাড়িতে করে প্রচুর বর্জ্য এনে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় সওজের জায়গায় ফেলা হচ্ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে খবরের সত্যতা মেলে। এ সময় সাতজনকে বর্জ্য ফেলা অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁদের মোট চার হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পাঁচটি ভ্যানগাড়িতে করে প্রচুর বর্জ্য এনে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় সওজের জায়গায় ফেলা হচ্ছিল। খ

জামিল আক্তার আরও বলেন, মহাসড়কের ওই জায়গায় সম্প্রতি ময়লা না ফেলতে সওজের পক্ষ থেকে একটি সতর্কবার্তা টাঙানো হয়েছে। এই সতর্কবার্তার কোনো তোয়াক্কা না করে ময়লা ফেলা হচ্ছিল। মহাসড়ক আইন-২০১৮ অনুযায়ী তাঁদের আপাতত লঘু শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এ ছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠানের ময়লা এনে এখানে ফেলা হয়, তাদের শনাক্ত করে চিঠি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা না মানলে পরবর্তী সময়ে আইনের সর্বোচ্চ শাস্তির প্রয়োগ করা হবে। এমন অভিযান নিয়মিত চলবে।

গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও নদী পরিব্রাজক দল শ্রীপুরের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম বলেন, নিয়মিত মনিটরিং না করলে ময়লা ফেলা বন্ধ করা কঠিন হবে। যাঁরা ময়লা ফেলছেন, তাঁদের ডাম্পিং স্টেশন তৈরির জন্য চাপ দিতে হবে। তা না হলে পরিবেশদূষণ বন্ধ হবে না।