মহাসড়কের পাশে দোকান নির্মাণ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা প্রশাসন দোকান নির্মাণ না করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ না মেনে এক পল্লিচিকিৎসক দোকান নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এভাবে দোকান নির্মাণ করলে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দোকান নির্মাণের কাজ চলছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তোলা ছবি।ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার শহীদনগর ট্রমা সেন্টারের সামনে প্রশাসন দোকান নির্মাণ না করার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশ না মেনে স্থানীয় চাঁদগাঁও গ্রামের এক পল্লিচিকিৎসক দোকান নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল নয়টায় দাউদকান্দি উপজেলার শহীদনগর ট্রমা সেন্টারের সামনে গিয়ে তিনজন রাজমিস্ত্রীকে ওই স্থানে দোকান নির্মাণের কাজ করতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের কুমিল্লা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আহাদ উল্লাহ বলেন, সওজের অনুমতি ছাড়া কেউ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে দোকান নির্মাণ করতে পারবে না। গত শুক্রবার সওজ, দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দোকান নির্মাণকাজ না করার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ পুনরায় লোক পাঠিয়ে দোকান নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

দাউদকান্দির সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, সরকারি জায়গায় কোনো অবস্থাতেই দোকান নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না।
সওজের জায়গায় প্রশাসনের নির্দেশ না মেনে দোকান নির্মাণের কারণ জানতে চাইলে পল্লিচিকিৎসক হারুণ অর রশিদ বলেন, ‘দখলসূত্রে ওই জমির মালিক আমি। তাই নিচের অংশ পাকা করে আপাতত দোকান নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেনের সংস্কারকাজ অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। আশা করছি, ভবিষ্যতেও কোনো ধরনের সমস্যা হবে না।’

আজ সকালে শহীদনগর ট্রমা সেন্টার–সংলগ্ন বাড়ির বাসিন্দা সালাহ উদ্দিন তালুকদার বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত শহীদনগর ট্রমা সেন্টারসহ আশপাশের জায়গাগুলো তাঁদের পূর্বপুরুষের ছিল। স্বাধীনতার পূর্বে তাঁদের জায়গাগুলো সরকার অধিগ্রহণ করে নিয়ে গেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ২০০৫ সালের ১ এপ্রিল অধিগ্রহণ করা জায়গায় ট্রমা সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০০৬ সালের ৬ অক্টোবর ট্রমা সেন্টারটি উদ্বোধন করা হয়। ট্রমা সেন্টারের সামনের অংশে ২০ ফুটের বেশি জায়গা সওজের। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেঁষে দোকান নির্মাণ করা খুবই ঝুঁকির কাজ। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঝুঁকি থাকে।
চাঁদগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী শাহীন ভূঁইয়া ও আবুল হোসেন বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে এভাবে দোকান নির্মাণ করা ঠিক নয়। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়।