মহিপালে মহাসড়কে বের হচ্ছে গ্যাস, পরিদর্শনে বাখরাবাদের এমডি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল এলাকায় বাখরাবাদ গ্যাসের সঞ্চালন লাইন লিকেজ স্থান পরিদর্শন করেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। শনিবার সকালে।
প্রথম আলো

ফেনী সদর উপজেলার মহিপাল এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গ্যাসলাইন লিকেজের স্থানটি পরিদর্শন করেছেন কুমিল্লার বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শংকর মজুমদার। আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে শংকর মজুমদারের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
এদিকে ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামানও মহিপাল এলাকার ওই গ্যাস লিকেজের স্থানটি পরিদর্শন করেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এবং বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত গ্যাস লিকেজের বিষয়টির সমাধান করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

আজ শনিবার প্রথম আলোর চট্টগ্রাম সংস্করণে ‘মহিপালে সড়কে বের হচ্ছে গ্যাস, আতঙ্কে লোকজন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে সরব হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর মহিপাল এলাকায় ছয় লেনের উড়াল সড়কের (ফ্লাইওভার) এক পাশে চট্টগ্রাম অভিমুখী সড়কের ওই স্থানে বেশ কয়েক মাস ধরে অনবরত গ্যাস বের হচ্ছিল। বৃষ্টি হলে জমা পানিতে বুদ্‌বুদ দেখা যায়। ম্যাচের কাঠি ঘষলে আগুন জ্বলে। ওই সড়কে চলাচলের সময়ও গ্যাসের গন্ধ নাকে লাগে। লোকজন বিষয়টি স্থানীয় বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষকে জানান। বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ ওই স্থান পরিদর্শন করে গত ২৬ জুলাই গ্যাসলাইনের লিকেজ সংস্কার করতে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে সহযোগিতার জন্য লিখিতভাবে জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাখরাবাদের নোয়াখালী অঞ্চলের উপমহাব্যবস্থাপক সাগির আহমেদ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন আহমেদসহ উভয় বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

গতকাল শুক্রবার সকালে বৃষ্টির সময় সড়কের ওই স্থানে পানি জমলে গ্যাসের বুদ্‌বুদের পরিমাণ বেশি দেখা যায়। স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। বিষয়টি জানান পর ফেনীর বাখরাবাদ গ্যাসের আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী কামরুল হাসান টেকনিশিয়ানদের নিয়ে ওই স্থানে ছুটে যান। পরে সেখানে ১০ বস্তা বালু ফেলা হয়।

শনিবার ওই লিকেজের স্থান পরিদর্শন শেষে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শংকর মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি সওজ কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। এটি জাতীয় মহাসড়ক হওয়ায় সওজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও সহযোগিতার বিষয় রয়েছে। তাদের কাছ থেকে সাড়া পেলে তাঁরা ব্যবস্থা নিতে পারবেন। আশা করছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটির সমাধান হবে।

এ সময় বাখরাবাদ গ্যাসের উপমহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) আবুল বাশার, নোয়াখালী আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম (বিক্রয়) মো. সোলায়মান, ডিজিএম (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) সাগির আহমেদ, ফেনী এরিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সাহাবুদ্দিন, সহকারী প্রকৌশলী কামরুল হাসান ও নুরুল করিম উপস্থিত ছিলেন।