মহেশখালীতে এক দিনে ৪ লাশ উদ্ধার

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে আজ মঙ্গলবার নিখোঁজ এক কলেজ শিক্ষার্থীসহ চারজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। আরেকজনের লাশ অনেকটা গলে যাওয়ায় তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি।

শনাক্ত হওয়া তিনজন হলেন কলেজ শিক্ষার্থী আশরাফুল মোহাম্মদ তোফায়েল, আলো রানী ও দেলোয়ার হোসেন।

মহেশখালী থানা-পুলিশের ভাষ্যমতে, গত রোববার সন্ধ্যায় কক্সবাজার ৬ নম্বর জেটিঘাট থেকে একটি গামবোটে করে ৩৮ জন মহেশখালী যাচ্ছিলেন। মাঝপথে বাঁকখালীর খারির ভয়ার সামনে পৌঁছালে একটি মাছ ধরার নৌকা ওই গামবোটে ধাক্কা দেয়। এতে গামবোট থেকে এক কলেজ শিক্ষার্থীসহ তিনজন বাঁকখালী নদীতে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে দুজনকে উদ্ধার করা গেলেও শিক্ষার্থী আশরাফুলকে পাওয়া যায়নি। আশরাফুল চট্টগ্রাম কলেজের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

আজ বেলা ১১টায় উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের মগচর এলাকায় ভাসমান অবস্থায় একটি লাশ দেখে স্থানীয় জেলেরা থানা-পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে শাহজাহান লাশটি তাঁর ছোট ভাই আশরাফুলের বলে শনাক্ত করে।

এর আগে সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের জালিয়াপাড়ার–সংলগ্ন মহেশখালী চ্যানেল থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন জায়গা গলে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এ ছাড়া সকাল আটটার দিকে পৌর এলাকার বলরামপাড়া পুকুর থেকে আলো রানী (৬৫) নামের একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। সর্বশেষ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় পৌর এলাকার গোরকঘাটা চরপাড়া কেওড়া বাগানের ভেতরে একটি খাল থেকে দেলোয়ার হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ বলছে, গত শুক্রবার বিকেলে কক্সবাজার সদরের পিএমখালি ছনখোলাপাড়ার বাসিন্দা নুরুল আমিনের ছেলে কিশোর দেলোয়ার হোসেন ছনখোলাঘাটে একটি নৌকা থেকে পড়ে সাগরে নিখোঁজ হয়। আজ পৌর এলাকার চরপাড়া কেওড়া বাগানের ভেতরে একটি খালে দেলোয়ারের লাশটি দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন।

জানতে চাইলে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস বলেন, শনাক্ত তিনজনের লাশ তাঁদের পরিবারের কাছে পুলিশ হস্তান্তর করেছে।