মা-ছেলে বাড়ি ফিরছিলেন, ট্রাক কেড়ে নিল ছেলেকে

নরসিংদীর শিবপুরে বালুবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক কিশোর নিহত হয়েছে। আজ সোমবার সকালে উপজেলার ইটাখোলা-মনোহরদী আঞ্চলিক সড়কের বাড়ইগাঁও এলাকায়
প্রথম আলো

নরসিংদীর শিবপুরে বালুবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অটোরিকশার চালকসহ মোট পাঁচজন। আজ সোমবার সকালে উপজেলার ইটাখোলা-মনোহরদী আঞ্চলিক সড়কের বাড়ইগাঁও এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় নিহত কিশোরের নাম শামীম মিয়া (১২)। সে শিবপুর উপজেলার কুমারটেক গ্রামের ভেড়ামারা এলাকার সুমন মিয়ার ছেলে। দুর্ঘটনার সময় শামীম তার মা পিংকি বেগমের সঙ্গে ওই অটোরিকশায় করে বাড়িতে ফিরছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন বলেন, মনোহরদী বাসস্ট্যান্ড থেকে পাঁচজন যাত্রী নিয়ে শিবপুর বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন অটোরিকশার চালক। অটোরিকশাটি ইটাখোলা-মনোহরদী আঞ্চলিক সড়কের বাড়ইগাঁও এলাকায় পৌঁছানোর পর মনোহরদীগামী বালুবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হন অটোরিকশাটির চালকসহ পাঁচজন। পরে স্থানীয় লোকজন দুর্ঘটনায় নিহত কিশোর ও আহত পাঁচজনকে শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত কিশোরের মামা শাহীন আলম বলেন, তাঁর বোন পিংকি বেগম ও ভাগনে শামীম মিয়া গাজীপুরে গিয়েছিলেন কয়েক দিন আগে। গাজীপুরের একটি কারখানায় শামীমের বাবা সুমন মিয়া চাকরি করেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই সেখানে গিয়েছিলেন তাঁরা। আজ ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটল।

শিবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, শামীম নামের ওই কিশোরকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আহত পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শিবপুর থানার উপপরিদর্শক রাসেল কবির বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ওভারটেক করতে গিয়ে বালুবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নিহত শামীমের স্বজনেরা এসেছেন, তাঁরা এখন পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন। বালুবাহী ট্রাকটি জব্দ করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছেন।