মা-মেয়ের হত্যার বিচার ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি

মা-মেয়ের হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন। রোববার দুপুরে জেলা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে।
ছবি: প্রথম আলো

নেত্রকোনার আটপাড়ার মা-মেয়ের হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। একই সঙ্গে মামলার বাদী ও সাক্ষীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে জানিয়ে বক্তারা ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। রোববার দুপুরে জেলা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকায় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পালগাঁও গ্রামের মোজাম্মেল হকের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী সুভাষ ফকিরের পরিবারে দীর্ঘদিন ধরে জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গত ১ মার্চ উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোজাম্মেলের মা মোক্তারেন্নেছা (৭০) নিহত হন। এর আগে গত ২০১৪ সালে একই ঘটনায় মোজাম্মেলের বোন সুবর্ণা আক্তার (৩২) প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হন। উভয় ঘটনায় মামলা চলমান। সর্বশেষ মোক্তারেন্নেছা হত্যা ঘটনায় সুভাষ ফকিরকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নামে হত্যা মামলা হয়। কিন্তু মামলাটির বাদী মোজাম্মেলের অভিযোগ, আসামি ও তাঁদের স্বজনেরা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বিভিন্ন অভিযোগ এনে গত তিন মাসে তাঁদের নামে অন্তত সাতটি মামলা করেছেন।

এসব মামলা প্রত্যাহারসহ মোক্তারেন্নেছা ও সুবর্ণা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবিতে রোববার মানববন্ধন কর্মসূচি নেওয়া হয়। আয়োজনে ছিল ‘খুন হওয়া পরিবারের অসহায় সদস্যবৃন্দ ও এলাকাবাসী’।

ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন মৃত মোক্তারেন্নেছার ছেলে মোজাম্মেল হক, মেয়ে রেশমা আক্তার, ভাই জাহাঙ্গীর আলম, বাবুল আলম প্রমুখ। মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমার মা ও বোনের হত্যার বিচার চেয়ে মামলা করায় আসামিরা আমার পরিবার ও সাক্ষীদের বিরুদ্ধে একের পর এক সাতটি মিথ্যা মামলা দিয়ে চরম হয়রানি এবং অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। এ ছাড়া আমার দায়ের করা মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য তাঁরা প্রাণনাশের হুমকি–ধমকি দিয়ে আসছেন। প্রাণভয়ে আমরা বাড়িঘর ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। এ নিয়ে পুলিশ সুপার ও ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।’

অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে প্রতিপক্ষের সুভাষ ফকিরের মুঠোফোন নম্বরে ফোন দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। নেত্রকোনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, ‘এ রকম একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’