মাইক্রোবাস থেকে চালককে ফেলে দিয়ে হত্যা, আটক ২

হত্যা
প্রতীকী ছবি

বগুড়ায় নন্দীগ্রাম উপজেলায় মাইক্রোবাস থেকে চালককে ফেলে দিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার মধ্যরাতে বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার তেঘড়ি এলাকায় বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই চালকের নাম আনোয়ার হোসেন (৩৭)। তিনি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার জাতআমরুল গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। এ ঘটনায় দুই বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। আটক দুজন হলেন আরিফুল ও ইসলাম হোসেন। তাঁরাও একই উপজেলার বাসিন্দা।

আটক আরিফুল ও ইসলাম হোসেনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানান, গতকাল রাতে কয়েকজন মিলে একটি মাইক্রোবাসে করে নওগাঁর আত্রাই থেকে বগুড়ার একটি অভিজাত হোটেলের বারে মদপান করতে আসেন। মদপান শেষে আত্রাই উপজেলায় ফেরার পথে মাইক্রোবাসের ভেতরে মাতলামি ও হাতাহাতি শুরু হয়। এ সময় চালক আনোয়ার হোসেন তাঁদের থামানোর চেষ্টা করেন। মাতলামির একপর্যায়ে অন্যরা চলন্ত মাইক্রোবাস থেকে চালককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। এ সময় অপর একটি চলন্ত ট্রাক তাঁকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আনোয়ার হোসেন নিহত হন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে অন্যরা পালিয়ে যান। তাঁরা দুজন মিলে আনোয়ারের লাশ তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দিতে গেলে স্বজনেরা তাঁদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

নিহত আনোয়ারের বড় ভাই মাজাহারুল ইসলাম বলেন, যাত্রীরা মদ্যপান করে বগুড়া থেকে ফেরার পথে তাঁর ভাইকে চলন্ত মাইক্রোবাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছেন। এ ঘটনায় উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন তিনি।

নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আত্রাই থানার পুলিশ আটক দুজনকে নন্দীগ্রাম থানায় পাঠিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মাইক্রোবাসের যাত্রীরা মদপান করে বগুড়া থেকে ফিরছিলেন। এর মধ্যে আত্রাই উপজেলায় কর্মরত সরকারি অফিসের গাড়িচালকও আছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।