মাগুরায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় কাউন্সিলর প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ

পৌরসভা নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

মাগুরা পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারণার সময় এক কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন প্রতিপক্ষের লোকজন। আজ শুক্রবার বিকেলে পৌর এলাকার বরুনাতৈল গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার ওই কাউন্সিলর প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক কাউন্সিলর মো. জাহিদুল ইসলাম। তিনি ১৬ জানুয়ারি মাগুরা পৌরসভা নির্বাচনে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন।

মো. জাহিদুল ইসলামের বলেন, আজ বিকেল পাঁচটার দিকে বরুনাতৈল ক্যানালপাড়া এলাকায় কয়েকজন সমর্থককে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তিনি। এমন সময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে কয়েকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। হামলায় জাহিদুল ইসলাম ও তাঁর সঙ্গে থাকা তিনজন আহত হন। এ সময় হামলাকারীরা তাঁর কাছে থাকা দুটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নেন বলে অভিযোগ করেন জাহিদুল ইসলাম।

বর্তমান কাউন্সিলর হুমায়ূন কবির ভোটের মাঠে আমাকে কোণঠাসা করতে তাঁর ভাতিজা রুহুল আমিনকে দিয়ে এ হামলা চালিয়েছেন। হামলার সময় আমাকে ভোটের মাঠ থেকে সরে যেতে জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
মো. জাহিদুল ইসলাম, মাগুরা পৌরসভা নির্বাচনে ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলরপ্রার্থী

জাহিদুল বলেন, বর্তমান কাউন্সিলর হুমায়ূন কবির ভোটের মাঠে তাঁকে কোণঠাসা করতে তাঁর ভাতিজা রুহুল আমিনকে দিয়ে এ হামলা চালিয়েছেন। হামলার সময় ভোটের মাঠ থেকে সরে যেতে জীবননাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

এদিকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক ছাত্রলীগের নেতা রুহুল আমিন ও তাঁর চাচা বর্তমান কাউন্সিলর হুমায়ূন কবির। রুহুল আমিন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, কে বা কারা হামলা করেছেন, তা তিনি জানেন না। অন্যদিকে বর্তমান কাউন্সিলর ও এবারের কাউন্সিলর প্রার্থী হুমায়ূন কবির বলেন, তিনি নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত। এ হামলা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

আমি নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত। এ হামলা সম্পর্কে কিছুই জানি না।
হুমায়ূন কবির, বর্তমান কাউন্সিলর

মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কথা বলে জানা যায়, কাউন্সিলর প্রার্থী জাহিদুলসহ চারজন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। কারও অবস্থা গুরুতর নয়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সবাই হাসপাতাল ছেড়েছেন।

মাগুরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. অলিউল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এ ধরনের একটি ঘটনা শুনেছেন। তবে বিস্তারিত এখনো জানতে পারেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।