মাগুরার সেই দুই তরুণকে নিয়ে গেছে র‍্যাব

প্রতীকী ছবি

মাগুরার সেই দুই তরুণকে নিয়ে গেছে র‍্যাব–৬। জঙ্গি–সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে র‍্যাব তাঁদের নিয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন মাগুরার পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান। ওই দুই তরুণ হলেন সদর উপজেলার গোপালগ্রাম ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের সুরত আলী মোল্লার ছেলে ইমরান হোসেন (২৫) এবং একই গ্রামের মৃত ছফির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫)।
গত মঙ্গলবার রাতে শ্যামপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গতকাল বুধবার এ অভিযোগে মাগুরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ভুক্তভোগী পরিবারের এক সদস্য।
পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান গতকাল রাত ১১টায় তাঁদের সন্ধান নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইমরান হোসেন ও সাইফুল ইসলাম নামের ওই দুই তরুণকে খুলনার র‍্যাব–৬–এর সদস্যরা নিয়ে গেছেন। ওই দুই তরুণের বিরুদ্ধে জঙ্গি–সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আছে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। এ অভিযোগে র‍্যাব মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

আরও পড়ুন

ওই দুই তরুণকে হেফাজতে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব–৬–এর একজন কর্মকর্তাও। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে গতকাল বিকেলে মাগুরা সদর থানায় জিডি করেন র‍্যাবের হেফাজতে থাকা ইমরানের বড় ভাই ওমর আলী। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ব্যক্তি দুটি প্রাইভেট কারে তাঁদের এলাকায় আসেন। এ সময় তাঁরা পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁর ভাই ইমরান ও তাঁদের প্রতিবেশী সাইফুলকে গাড়িতে তুলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ সময় প্রাইভেট কারে থাকা লোকজন তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে বলে জানিয়েছিলেন। পরে তিনিসহ (ওমর) এলাকাবাসী সদর থানাসহ সংশ্লিষ্ট পুলিশ ফাঁড়িতে খবর নিয়ে এ ধরনের গ্রেপ্তার বা আটকের খবর নেই বলে জানতে পারেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি (ওমর) গতকাল বিকেলে সদর থানায় জিডি করেন।

জঙ্গি–সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে গতকাল রাতে ওমর আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, ইমরান মাগুরা সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে সম্প্রতি বাংলায় স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। আর তাঁদের প্রতিবেশী সাইফুল একজন কৃষক। এ ঘটনা কেন ঘটেছে, তা তিনি বুঝতে পারছেন না।