মাগুরায় আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে কৃষক নিহত

মাগুরা জেলার মানচিত্র

মাগুরার শ্রীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন।

এ ছাড়া দোকান ও বসতবাড়িসহ ২০টির বেশি স্থাপনায় ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ১২ জনকে আটক করেছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে শ্রীপুরের শ্রীকোল ইউনিয়নের সরইনগর ও খোর্দ্দরহুয়া গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহত আলাউদ্দিন ফকির (৫৫) নামে এক ব্যাক্তি আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। আলাউদ্দিন খোর্দ্দরহুয়া গ্রামের চয়নুদ্দিন ফকিরের ছেলে ও পেশায় কৃষক।

পুলিশ ও বিবদমান দুই পক্ষের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শ্রীকোল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমীনউদ্দিন মোল্লা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু বক্কার মোল্লার (ইউপি সদস্য ও বর্তমানে শ্রীকোল ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলে আসছে। দুই সপ্তাহ আগে প্রতিপক্ষের হামলায় আমীনউদ্দিন মোল্লার পক্ষের একজন আহত হন। ওই ঘটনার জেরে সোমবার দুপুরে ইউপি সদস্য আবু বক্কার মোল্লার ওপর হামলা হয়। এতে আবু বক্কার আহত হন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষের লোকজন। এরই এক পর্যায়ে আমীনউদ্দিন মোল্লার পক্ষের আলাউদ্দিন ফকিরকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন।

নিহত ব্যক্তির চাচা হারেজ শেখ বলেন, ‘আমার ভাস্তে গিছিল মাঠে কাজ করতি। স্যানে একা পায়ে তাঁরে কুপাইছে। সোমবার মাগুরা হাসপাতালে ভর্তি করা হইছিল। আজ ফরিদপুর নেওয়ার পথে মারা যায়।’

এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে আনছার আলী মোল্লা, সাজ্জাদ শেখ, পান্নু লস্কর, মনিরুল লস্কর, ওয়াজেদ লস্কর, বাবলু ফকির, গেন্দা শেখ, রশিদ মোল্লা, সিদ্দিক কাজী, নাজমুল হোসেন, মোহন মোল্লা ও এনামুলের দোকানসহ ২৫টি ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শ্রীকোল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমীনউদ্দিন মোল্লা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেম্বর (আবু বক্কার) পরিকল্পিতভাবে এলাকায় বিরোধ সৃষ্টি করে রেখেছেন। দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও বিরোধ থামছে না।’

এ বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য আবু বক্কার মোল্লার মুঠোফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান বলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনো মামলায় হয়নি। সংঘর্ষের ঘটনায় ১২জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে।