মাগুরায় যুবকের মাথাবিহীন খণ্ডিত লাশ উদ্ধার

মাগুরায় যুবকের মরদেহের খণ্ডিত অংশ পড়েছিল পুকুরে
ছবি: প্রথম আলো

মাগুরায় এক যুবকের মাথাবিহীন খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে মহম্মদপুর উপজেলার কালুকান্দি গ্রামের একটি রাস্তার পাশে ও মজা পুকুর থেকে দুটি বস্তায় মোড়ানো অবস্থায় দেহের খণ্ডিত দুটি অংশ উদ্ধার করা হয়। তবে এখনো মাথা ও একটি পায়ের সন্ধান মেলেনি। পুলিশের ধারণা, অন্য কোনো জায়গায় হত্যা করে লাশটি এখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

মাথা খুঁজে না পেলেও মরদেহটি মো. আজিজুর রহমান (৩০) নামের এক যুবকের বলে দাবি করেছেন তাঁর স্বজনেরা। নিহত যুবকের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার সংকোচখালী গ্রামে। তবে তিনি মহম্মদপুর উপজেলার বানিয়াবাহু গ্রামে নানা আবুল কাশেমের বাড়িতে থেকে বড় হয়েছেন। ওই যুবক মাগুরা সদর উপজেলার ইছাখাদা গ্রামে বিয়ে করেন। সবশেষ ওই গ্রামেই একটি ভাড়া বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকছিলেন তিনি।

পরনে থাকা প্যান্ট ও শার্ট দেখে লাশটি শনাক্ত করেছেন নিহতের ভাই মো. হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, তাঁর ভাই মাগুরায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। গতকাল শনিবার সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হওয়ায় পর থেকে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ ছিল।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লাশের অংশ পড়ে ছিল কালুকান্দি গ্রামের মতিয়ার মোল্লা নামের এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত পুকুরের পাড়ে। আজ সকালে স্থানীয় লোকজন রক্তমাখা বস্তা দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে বস্তার মধ্যে কালো পলিথিনে মোড়া অবস্থায় গলার নিচ থেকে মাজা পর্যন্ত দেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করে। পাশেই পরিত্যক্ত পুকুরের মধ্যে নাইলনের আরেকটি ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় একটি পা উদ্ধার করা হয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ওই পুকুর ও আশপাশের এলাকা থেকে মরদেহের আরেকটি পা ও মাথা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

মাগুরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিহত যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। মরদেহের খণ্ডিত অংশ ও হত্যা রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশের একাধিক ইউনিট কাজ করছে। তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের ধারণা, অন্য কোনো জায়গায় হত্যা করে লাশটি এখানে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।’