মুখোমুখি সংঘর্ষের পর বাস খাদে, নিহত ৪

দুর্ঘটনার পরপরই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজ শুরু করে। চাকলাদার পরিবহনের বাসটি খালের পানির মধ্যে আংশিক ডুবেছিল। এখন পর্যন্ত সেখান থেকে চারটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হতাহত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর চাকলাদার পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে কয়েক ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। শুক্রবার দুপুরে মাগুরা সদরের মঘীর ঢাল এলাকায়।প্রথম আলো

মাগুরা–যশোর মহাসড়কে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে ৪ জন নিহত ও অন্তত ১৭ জন আহত হয়। শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে মাগুরা সদর উপজেলার মঘীর ঢাল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বেলা সাড়ে তিনটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চলছিল। এ ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন পুলিশ ও উদ্ধারকাজে যুক্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেলা দেড়টার দিকে বরিশাল থেকে আসা চাকলাদার পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ঢাকাগামী সোহাগ পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় চাকলাদার পরিবহনের বাসটির পেছনে আরও একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে ছিটকে পড়ে।

দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর চাকলাদার পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে কয়েক ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। শুক্রবার দুপুরে মাগুরা সদরের মঘীর ঢাল এলাকায়।
প্রথম আলো

উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, নিহত চারজনসহ হতাহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই চাকলাদার পরিবহনের যাত্রী। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আহত ১৭ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহিম প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পরপরই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। চাকলাদার পরিবহনের বাসটি খালের পানির মধ্যে আংশিক ডুবেছিল। এখন পর্যন্ত সেখান থেকে চারটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ এখনো শেষ হয়নি, তবে বাসের মধ্যে আর কোনো লাশ নেই বলে নিশ্চিত হয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম আরও জানান, হতাহত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সোহাগ পরিবহন ও দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসের যাত্রীদের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।