মাচায় ঝুলছে শত শত তরমুজ
অন্য সব জমিতে তরমুজের উৎপাদন শেষ হয়েছে অনেক আগেই। অথচ নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ধুলাউড়ি গ্রামের আব্বাছ আলীর জমির মাচায় ঝুলছে শত শত তরমুজ। এই এলাকায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে বর্ষাকালীন তরমুজের চাষ শুরু করেন তিনি।
তরমুজচাষি আব্বাছ আলী বেসরকারি একটি ব্যাংকের সাবেক ব্যাংকার। বর্তমানে তিনি কৃষিকাজ নিয়ে ব্যস্ত। বর্ষাকালীন তরমুজের চাষে তাঁর আগ্রহ তৈরি হয়। তাই পরিকল্পনা মোতাবেক জুনের প্রথম সপ্তাহে তিনি বর্ষাকালীন তরমুজের চাষ শুরু করেন। আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে ফল আসে। প্রতিটি ফল তিনি নেটের ব্যাগে ঝুলিয়ে দেন। ফলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হলেও তরমুজ নষ্ট হয়নি। মাত্র ৭০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ শুরু করেন তিনি। অসময়ে তরমুজ চাষ করায় অনেকে কৌতূহল নিয়ে তাঁর তরমুজখেতে দেখতে আসেন। কেউ কেউ ইতিমধ্যে বর্ষাকালীন এই তরমুজ চাষের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।
আব্বাছ আলী বলেন, এখন অফ সিজন হওয়ায় তরমুজের চাহিদা ব্যাপক। পাইকারি ক্রেতারা জমিতে এসে তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। দামও ভালো পাচ্ছেন। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। প্রতিটি তরমুজের ওজন তিন থেকে চার কেজি। বিঘায় ১৫০ মণ তরমুজ উৎপাদিত হবে বলে তিনি আশা করছেন।
প্রথমবার লাভজনক হওয়ায় আগামী অক্টোবরে ফল সংগ্রহের লক্ষ্যে তিনি আবারও কিছু জমিতে তরমুজের চাষ শুরু করেছেন। শুক্রবার সকালে ধুলাউড়ি গ্রামে গিয়ে আব্বাছ আলীর তরমুজখেতের কথা বলতেই লোকজন দেখিয়ে দেন। কাছে গিয়ে দেখা যায়, মাচার সঙ্গে চাল কুমড়ার মতো ঝুলছে তরমুজ। অসময়ে নতুন জাতের এই তরমুজ দেখতে আসছেন অনেকেই। তরমুজ কেটে তাঁদের আপ্যায়ন করছেন আব্বাছ আলী।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোমরেজ আলী বলেন, আব্বাছ আলী বর্ষাকালীন তরমুজ চাষ করে আশাতীত সফল হওয়ায় এ জাতের তরমুজ চাষে এ অঞ্চলে ব্যাপক সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে। মাত্র ৭০ দিনের মধ্যে এই তরমুজ ফলানো সম্ভব হচ্ছে। ইচ্ছা করলে সারা বছর এ জাতের তরমুজ চাষ করা যাবে। এই তরমুজের মিষ্টতা ও স্বাদ ভালো। তাই বাজারজাত করতে কষ্ট হচ্ছে না।