মাঠে জমে থাকে পানি, খেলা বন্ধ

দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধ থাকায় মাঠে জন্মেছে কচুরিপানা। সম্প্রতি নওগাঁর রানীনগর পাইলট সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়েপ্রথম আলো

মাঠের দুই পাশে গোলপোস্ট। তবে মাঝমাঠে ফুটবল খেলার সুযোগ নেই। প্রথমে দীর্ঘদিন ধরে পানি জমেছে, এরপর গজিয়েছে কচুরিপানা ও জলজ উদ্ভিদ। কেউ কেউ সে মাঠে গরু ছেড়ে দেন লতাগুল্ম খাওয়ানোর জন্য। এমন দৃশ্য দেখা যায় নওগাঁর রানীনগর উপজেলার পাইলট সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে গিয়ে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে বিদ্যালয় বন্ধ দীর্ঘদিন। যে মাঠে একসময় শিক্ষার্থীরা খেলাধুলায় মেতে থাকত, দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় সেই মাঠের এখন এমন দশা হয়েছে। বিদ্যালয়ের আশপাশে বসবাসকারী ব্যক্তিরাও এ মাঠ পার হতে ভোগান্তিতে পড়ে। তাদের অভিযোগ, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় মাঠটির এমন অবস্থা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠ থেকে পানি নিষ্কাশিত হওয়ার কোনো পথ নেই। আশপাশে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন স্থাপনা। স্থানীয় বাসিন্দা রাজু হোসেন, আবুল হাসানসহ কয়েকজন বলেন, মাঠটি আশপাশের তুলনায় নিচু। গত দেড় বছরে এর আশপাশে যেসব স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে, সেগুলোর মধ্য দিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ রাখা হয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠে পানি জমে। পানি নিষ্কাশনের জন্য পাশে যে সরকারি খাল ছিল, তা–ও দখল করে অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই মাঠে একসময় অনুষ্ঠিত হতো জেলা-উপজেলা পর্যায়ের ফুটবল টুর্নামেন্ট। এ ছাড়া ক্রিকেট, হ্যান্ডবলসহ উপজেলা পর্যায়ের সব ধরনের খেলা, বিভিন্ন দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হতো এই মাঠে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এখন এসব কিছুই হয় না। তাই মাঠটি যে জলাশয়ে পরিণত হয়েছে, সেদিকে কারও নজর নেই।

উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে মাঠটি দ্রুত সংস্কারের মাধ্যমে খেলাধুলার উপযোগী করার জন্য স্থানীয় সাংসদের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আর রানীনগর পাইলট সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পারভীন সুলতানা বলেন, মাঠের দুর্দশার বিষয়টি লিখিতভাবে স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো জানান, তিনি মাঠটি পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত মাটি ভরাট করে খেলার উপযোগী করা হবে মাঠটি।