মাঠে পাকিস্তান দলের জার্সি পরা ও পতাকা প্রদর্শন লজ্জার, কলঙ্কের: পরিকল্পনামন্ত্রী

সুনামগঞ্জের ছাতকে সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়
প্রথম আলো

যাঁরা ক্রিকেট খেলার মাঠে খেলা দেখতে গিয়ে পাকিস্তানি পতাকা প্রদর্শন ও জার্সি পরেছেন, তাঁদের ক্ষমা চাইতে বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন আগে ঢাকার মাঠে এসব ঘটেছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার, কলঙ্কের। এসব দেখে আমাদের কান্না পায়। বীর মুক্তিযোদ্ধারা কাঁদছেন। আমরা শরম পেয়েছি। যাঁরা এটা করেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে, দেশবাসীর কাছে মাথা নত করে তাঁদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সুনামগঞ্জের ছাতক পৌর শহরের শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে ছাতক উপজেলা ও পৌর আওয়ামী আয়োজিত এক মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘উইটসা এমিনেন্ট পারসনস অ্যাওয়ার্ড’ ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ‘অ্যাসোসিও লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০২১’-এ ভূষিত হওয়ায় শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ যোগ দেন। বিকেল থেকে সমাবেশ শুরু হলেও পরিকল্পনামন্ত্রী বক্তব্য দেন সন্ধ্যায়।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘কয়েক দিন আগে ঢাকার মাঠে এসব ঘটেছে। এটা আমাদের জন্য লজ্জার, কলঙ্কের। যাঁরা এটা করেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে, দেশবাসীর কাছে মাথা নত করে তাঁদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

সমাবেশে পরিকল্পনামন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে আরও বলেন, ১২ বছর আগে এই দেশ কেমন ছিল, আর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এখন কী হয়েছে, চিন্তা করে দেখুন। পরীক্ষা করুন। এই বাংলাদেশে শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী হন, তখন মাত্র কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল। এখন ঘরে ঘরে মানুষের বিদ্যুৎ আছে। বিদ্যুৎ নেই এমন ঘর খুঁজে পাওয়া যাবে না।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশের পরিচয় ছিল ভিক্ষুক-মিসকিনের জাতি হিসেবে। আর এখন ১২ বছরে একটানা পরিশ্রম করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বাঙালিদের পৃথিবীতে মর্যাদার আসনে, সম্মানের আসনে বসার সুযোগ দিয়েছেন।

ছাতক পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নূরুল হুদা মুকুট। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমদ চৌধুরী।