মাতারবাড়ী অস্থায়ী জেটিতে ভিড়ল ছোট জাহাজ

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় মাতারবাড়ীতে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে ভিড়েছে সমুদ্রগামী ছোট একটি জাহাজ।
ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় মাতারবাড়ীতে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে ভিড়েছে সমুদ্রগামী ছোট একটি জাহাজ। আজ মঙ্গলবার সকালে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের সরঞ্জাম নিয়ে জাহাজটি অস্থায়ী জেটিতে পৌঁছায়।

মাতারবাড়ী জেটি নির্মাণ ও স্রোত প্রতিরোধক নির্মাণে পাথরসহ নানা সরঞ্জাম নিয়ে আগেও জাহাজ এসেছে। তবে প্রস্তুত জেটিতে ভিড়ানো হয়নি। এবারই প্রথম জেটিতে ভেড়ানো হয়েছে বলে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি জানায়।

কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান প্রকৌশলী (পিঅ্যান্ডডি) মোহা. মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এখন নিয়মিতভাবেই বিদ্যুৎ প্রকল্পের সরঞ্জাম জেটি দিয়ে খালাস করা হবে।  

মাতারবাড়ীতে সাগর থেকে ১৪ কিলোমিটার চ্যানেলে এখনই গভীরতা সাড়ে ১৮ মিটার। তাতে সাধারণ পণ্যবাহী বড় জাহাজ এখনই ভেড়ানোর উপযোগী। তবে যে জাহাজটি ভিড়েছে, তা ছোট। এটি লম্বায় ১২০ মিটার। পানির নিচে গভীরতা সাড়ে ৫ মিটার। এই জাহাজটিতে পণ্য আছে ৭৩৬ টন। এসব পণ্য কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পের ইস্পাতের নানা কাঠামো।

চট্টগ্রাম বন্দরসচিব ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, মাতারবাড়ীতে জাহাজ ভেড়ানোর তত্ত্বাবধান করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম বন্দরের প্রকল্প হিসেবে সেখানে গভীর সমুদ্রবন্দর হবে।

মাতারবাড়ী চ্যানেলে কয়লা জেটির আগে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ হবে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে জাপানের নিপ্পন কোয়ে-কে নিয়োগ দেওয়ার পর এটির আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু হয়। ২০২৫ সালে মাতারবাড়ীর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। সে হিসেবে ২০২৬ সাল থেকে এই বন্দরে কনটেইনার পণ্য পরিবহন শুরু হতে পারে। প্রথম দফায় সড়ক সংযোগসহ দুটি টার্মিনালের নির্মাণের খরচ ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা।

আজ জাহাজটি জেটিতে ভিড়ানোর পর পণ্য খালাস শুরু হয়। জাহাজটি থেকে পণ্য খালাসে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান গ্রিন এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের কর্ণধার এ কে এম শামসুজ্জামান রাসেল প্রথম আলোকে বলেন, জাহাজ জেটিতে ভেড়ানোর পরই পণ্য খালাসের কাজ শুরু হয়। জাহাজের ক্রেন দিয়ে প্রথমে জেটিতে নামানো হয়। এরপর তা প্রকল্পের গুদামে নেওয়া হয়।