মাথা গোঁজার ঠাঁই হচ্ছে হতদরিদ্র দুই পরিবারের

নির্মাণাধীন বাড়ির সামনে বসে খাদিজা বেগম (ডানে) ও তাঁর মেয়ে কামনা বিবি। সম্প্রতি পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে
প্রথম আলো

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা সদরের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর গ্রামের খাদিজা বেগমের (৩৫) এক যুগ আগে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু কাজের কথা বলে তাঁকে ছেড়ে চলে যান স্বামী। খাদিজা তখন সন্তানসম্ভবা। এ অবস্থায় তাঁর ঠাঁই হয় বাবার বাড়িতে। খাদিজার বাবার বাড়ি বলতে পলিথিনে ছাওয়া একটি ছাপরাঘর। সেখানেই জন্ম হয় খাদিজার মেয়ে কামনা বিবির। সে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদিজার সংসারের খরচও বাড়ে। ফলে ষষ্ঠ শ্রেণিতেই বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়ে কামনা।

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতাধীন ‘যাঁর জমি আছে, কিন্তু ঘর নেই, তাঁর নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ কার্যক্রমের সহায়ক হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের সচিব মো. সামছুর রহমান সহায়তায় খাদিজা বেগমকে একটি গৃহ নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। খাদিজার মেয়ে কামনা বিবির পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন সচিব।

কামনা বিবি বলে, ‘দুই বেলা খাওয়াইতে পারে না, হেই লইগ্যা ছোটকালেই বিয়া দিতে চাইছিল। খুব কান্না করছিলাম। কিন্তু আমি লেখাপড়া করতে চাই।’ শুধু খাদিজাই নয়, ইউনিয়নের আরজবেগি গ্রামের পারভীন বিবিকে (৪০) একটি ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায়।

দশমিনা উপজেলার ইউএনও তানিয়া ফেরদৌস জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন সচিবেরা। এরই ধারাবাহিকতায় দশমিনার হতদরিদ্র দুই পরিবারকে ঘর করে দেওয়া হয়।