মাদক কিনতে দেওয়া ২০০ টাকা ফেরত না পাওয়ায় হত্যা

ভ্রাম্যমাণ আদালত
প্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরার কিশোর ইজিবাইকচালক সালাউদ্দিনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরেক কিশোর (১৪) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে সাতক্ষীরার অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়ারুল ইসলাম তার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।

জবানবন্দিতে সাতক্ষীরা সদরের রসুলপুর এলাকার ওই কিশোর বলেছে, মাদক কেনার জন্য সে ইজিবাইকচালক সালাউদ্দিনকে ২০০ টাকা দেয়। সেই টাকা ফেরত না পাওয়ায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শনিবার ভোরে সালাউদ্দিনকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে ওই কিশোরকে যশোরের পোলেরহাট সরকারি শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক আহম্মদ আলী।

পুলিশ জানায়, গত শনিবার বেলা তিনটায় সাতক্ষীরা সদরের কাশেমপুর মালীপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ইজিবাইক চালক সালাউদ্দিনের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় শহরের রসুলপুর গ্রামের ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ ঘটনায় নিহত চালকের বাবা শাহজাহান সরদার বাদী হয়ে শনিবার রাতেই ওই কিশোরর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা চারজনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।

আজ সোমবার বেলা একটার দিকে তাকে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়। জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুল রহমানের নির্দেশে অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়ারুল ইসলাম ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহানউদ্দিন বলেন, শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদরের কাশেমপুর মালীপাড়ার নিজ বসতঘরের মেঝেতে পড়ে থাকা ইজিবাইকের চালক কিশোর সালাউদ্দিনের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন সন্ধ্যায় হত্যাকারী হিসেবে ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করলেও করোনা পরিস্থিতিতে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাকে রোববার সকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।