মাদারীপুরে কলাবাগানে পড়ে ছিল ভ্যানচালকের লাশ

লাশ
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরে ভ্যানচালক এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের গাছাবাড়ীয়া এলাকার একটি কলাবাগান থেকে রক্তাক্ত লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত ওই যুবকের নাম জুয়েল ব্যাপারী (৩০)। তিনি একই এলাকার আচমত আলী ব্যাপারীর ছেলে। পুলিশ বলছে, লাশের গলায় ও বুকে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে গাছবাড়ীয়া এলাকার আবদুল হাই ব্যাপারীর বাড়ির পেছনে কলাবাগানে একটি রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। তাঁরা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল গিয়ে পুলিশ লাশের পরিচয় শনাক্ত করে। পরে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত জুয়েলের বাবা আচমত ব্যাপারী বলেন, ‘আমার ছেলের কোনো শত্রু নাই। জমিজমা নিয়ে শত্রুতা থাকলে আমার সঙ্গে আছে। তাই হয়তো আমার ছেলেকে কেউ মেরে ফেলেছে। আমার ছেলেকে যাঁরা হত্যা করেছে, আমি তাঁদের বিচার চাই।’

স্থানীয় বাসিন্দা তোতা মিয়া বলেন, শনিবার রাত ১২টার দিকে মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ডের একটি হোটেলে রাতের খাবার খান জুয়েল। এ সময় তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকজন লোক ছিলেন। পরে রাতেই একটি ভ্যানে করে সবাই গাছবাড়ীয়ার দিকে যান। আজ সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর পান।

স্থানীয় সূত্র বলছে, গাছবাড়ীয়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লাল মিয়া মাতুব্বরের সঙ্গে শহিদুল ব্যাপারীর বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জের ধরে সম্প্রতি এলাকায় একাধিক খুন ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় এই দুই পক্ষের লোকজনের নামে সদর থানায় একাধিক মামলাও আছে।

আজ বেলা ১১টার দিকে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এহসানুর রহমান ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। লাশটি দেখেই বোঝা যায়, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তাঁর শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন আছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়া হয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ একাধিক কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।