মাদারীপুরে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে চেয়ার ছোড়াছুড়ি-ভাঙচুর

মাদারীপুরের কালকিনিতে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে নেতা–কর্মীদের চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ভাঙচুর। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার সার্কিট হাউজ চত্বরে
সংগৃহীত

মাদারীপুরের কালকিনিতে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের জুনিয়র নেতাদের নাম আগে মাইকে ঘোষণা দেওয়ার জের ধরে চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ভাঙচুর হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার সার্কিট হাউস চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো অনুষ্ঠানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ছাত্রলীগের সিনিয়র ও জুনিয়রদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে আওয়ামী লীগের নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কালকিনি উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে সকালে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‍্যালি শেষে স্থানীয় সার্কিট হাউস চত্বরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান বাকামিন খানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক বি এম জুবায়ের হোসেনের সঞ্চালনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভার শুরুতে ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাদের নাম আগে মাইকে ঘোষণা না দিয়ে নিয়ম ভঙ্গ করে জুনিয়র নেতাদের নাম ঘোষণা দেওয়া হয়। এরই জের ধরে ছাত্রলীগের একাংশ ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায়। মুহূর্তের মধ্যে পুরো অনুষ্ঠানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক ও বিশেষ অতিথি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহিনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হঠাৎ করে পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম খলিল না বুঝে মাথা গরম করেছেন। পরে বিষয়টি নিয়ে আমরা ফয়সালা করে দিয়েছি। আর নতুন করে কোনো ঝামেলা সৃষ্টি হয়নি।
তৌফিকুজ্জামান শাহিন, সাধারণ সম্পাদক, কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামানকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুজ্জামান শাহিন বলেন, ‘তুচ্ছ বিষয় নিয়ে হঠাৎ করে পৌরসভা ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিবুল ইসলাম খলিল না বুঝে মাথা গরম করেছেন। পরে বিষয়টি নিয়ে আমরা ফয়সালা করে দিয়েছি। আর নতুন করে কোনো ঝামেলা সৃষ্টি হয়নি।’

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিরউদ্দিন মৃধা বলেন, অনুষ্ঠানে সিনিয়র-জুনিয়রের নাম আগে–পরে ঘোষণা নিয়ে ছাত্রলীগের নিজেদের মধ্যে একটি ঘটনা ঘটেছে। তবে কোনো হাতাহাতি বা মারামারির কোনো ঘটনা হয়নি।