মাধবদী পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্যানেল মেয়র মো. শেখ ফরিদের সভাপতিত্বে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়
ছবি: প্রথম আলো

নরসিংদীর মাধবদী পৌরসভার মেয়র মো. মোশাররফ হোসেন প্রধানের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে কাউন্সিলররা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আজ শনিবার দুপুরে পৌরসভা মিলনায়তনে প্যানেল মেয়র মো. শেখ ফরিদের সভাপতিত্বে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, গত ১৬ জুন রাতে মাধবদী পৌরসভা মোড়ে দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। এ ঘটনায় পৌর মেয়র মো. মোশাররফ হোসেনকে প্রধান আসামি করে মাধবদী থানায় মামলা করা হয়। মামলাটি ছিল মিথ্যা, বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক। মেয়রের সম্মানহানি ও তাঁকে বিতর্কিত করার জন্যই এই মামলা করা হয়েছিল। অথচ এ ঘটনার সঙ্গে মেয়রের কোনো সম্পর্কই ছিল না।

গত ১৬ জুন রাত ৮টার দিকে মাধবদী পৌরসভা মোড়ে আওয়ামী লীগের এক পক্ষের হামলায় অপর পক্ষের দুজন গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন মাধবদী পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও সদর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. জাকারিয়া (৩৯) ও মাধবদীর নূরালাপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্যসচিব আবুল কালাম (৩০)। ঘটনার পর দুই পক্ষের লোকজনই মাধবদী থানায় এসে পাল্টাপাল্টি মামলা করেন।

এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ জাকারিয়ার বড় ভাই মো. আনোয়ার হোসেন মেয়রকে প্রধান আসামি করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। অন্যদিকে মেয়রের কর্মী ও পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোজাম্মেল মিয়া বাদী হয়ে করা মামলায় গুলিবিদ্ধ জাকারিয়াকে প্রধান আসামি করে মোট সাতজনকে আসামি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল মেয়র মো. শেখ ফরিদ বলেন, এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি এই ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানানো হচ্ছে। একই সঙ্গে ঘটনার প্রকৃত সত্য উদ্‌ঘাটন করে সাজানো নাটকের কারিগরদের শনাক্ত করতে হবে।

এ সময় পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পিয়ারা বেগম, ফরিদা ইয়াসমিন, মোসা. ফাতেমা বেগম, মায়া রানী দেবনাথ, পরিমল চন্দ্র ঘোষ, রাজীব হোসেন, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, মো. হেলাল উদ্দিন, হায়দার আলী, গৌতম ঘোষ, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. নওশের আলী।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদী মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ১৬ জুন রাতে জাকারিয়া ও আবুল কালাম পৌরসভার মোড় দিয়ে যাওয়ার পথে মেয়রের নির্দেশে তাঁদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। এ সময় মেয়র তাঁর হাতে থাকা পিস্তল থেকে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। তারপরই জাকারিয়া পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। মেয়র নিজেই গুলি করেছেন, তাই তাঁকে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে।