মানবতার সেবায় মনোয়ারা

দোকানের সামনে ক্রেতাদের নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়ানোর চিহ্ন আঁকার কাজ করছেন মনোয়ারা বেগম ও তাঁর সহকর্মীরা। সম্প্রতি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী বাজারে
ছবি: সংগৃহীত

করোনা মহামারির মধ্যেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানবসেবায় কাজ করে যাচ্ছেন মনোয়ারা বেগম।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার এই নারী গত ৬ মাসে পারিবারিক কলহ মিটিয়ে প্রায় ২০টি সংসার রক্ষা করেছেন। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সহায়তায় বন্ধ করেছেন পাঁচটি বাল্যবিবাহ। যৌতুকের শিকার অনেক নারীকে আইনি সহায়তা দিয়ে তাঁদের মুখে ফুটিয়েছেন হাসি।

টঙ্গিবাড়ীতে ব্র্যাকের মানবাধিকার ও আইন সহায়তা কর্মসূচিতে কাজ করছেন মনোয়ারা। ১৯৯৮ সাল থেকে তিনি এই কর্মসূচিতে আছেন। মনোয়ারা বেগম বলেন, মানবতার সেবায় কাজ করতে তিনি আনন্দ পান। এলাকায় যেখানেই মানুষ অধিকারবঞ্চিত হচ্ছে, সেখানেই সবার আগে ডাক পড়ে তাঁর। প্রায় দুই যুগ ধরে মানুষের সেবা করে তিনি স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছেও পরিচিত।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জনসচেতনতা গড়ে তুলতেও মনোয়ারা নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা; দোকানপাট, বাজার, হাসপাতাল, ফার্মেসিসহ বিভিন্ন স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পরামর্শ দেওয়ার কাজ করছেন তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়ানোর চিহ্ন আঁকার কাজও করেছেন মনোয়ারা। চিহ্ন এঁকেই চলে যাননি তিনি, পাশে দাঁড়িয়ে থেকে মানুষকে এর ব্যবহারে অভ্যস্ত করে তোলার চেষ্টাও করেছেন।

এসব উদ্যোগের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কারণে স্থানীয় প্রশাসনের অনেকেই মনোয়ারা বেগমকে চেনেন, জানেন। তাই এলাকার বিভিন্ন স্থানে কর্মকর্তারা করোনাভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার কাজে মাঝেমধ্যে ব্র্যাকের এই কর্মীকেও সঙ্গে নিয়ে যান। নিরলস কর্মপ্রচেষ্টা দ্বারা যতটুকু সম্ভব, অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেন মনোয়ারা।