মানিকগঞ্জে সয়াবিন তেল মজুতের দায়ে ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা

সয়াবিন তেল গুদামে অবৈধভাবে মজুত রেখে খোলাবাজারে বেশি দামে বিক্রির ঘটনায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান। আজ শুক্রবার দুপুরে মানিকগঞ্জ শহর বাজারে
ছবি: প্রথম আলো

মানিকগঞ্জ শহরে সয়াবিন তেলের অবৈধ মজুতের দায়ে এক ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের অভিযানে এ জরিমানা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল।

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ শহরের বিভিন্ন বাজারে অসাধু ব্যবসায়ীরা সয়াবিন তেল অবৈধভাবে মজুত রেখেছেন। এসব তেলের বোতল খুলে খোলাবাজারে বেশি দামে বিক্রি করে আসছিলেন তাঁরা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবদুল লতিফের নির্দেশনায় মানিকগঞ্জ শহর বাজারে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় কালীপদ অ্যান্ড সন্স নামের তেলের পরিবেশকের গুদামে অভিযান চালিয়ে পাঁচ লিটার ও দুই লিটারের বোতলের ১ হাজার ৩০০ লিটার তেল পাওয়া যায়।

অভিযান দলের সদস্যরা জানান, এ গুদামে পাওয়া এসব তেলের বোতল গত রমজান মাসে মজুত করে রাখা হয়েছে। সে সময় পাঁচ লিটার এক বোতল সয়াবিনের মূল্য ৭৯৫ টাকা। তবে বর্তমানে তেলের দাম বাড়ায় প্রতি পাঁচ লিটার সয়াবিনের মূল্য ৯৯০ টাকা। তবে বোতলে পূর্বের ওই মূল্য লেখা থাকায় ক্রেতাদের কাছে তা বিক্রি না করে খুলে বিক্রি করা হয়। এতে প্রতি লিটার তেলে ২০ টাকা হারে অতিরিক্ত লাভে বিক্রি করা হচ্ছে। এ কারণে কালীপদ অ্যান্ড সন্সের গুদামে অবৈধভাবে মজুত করার দায়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক নিরঞ্জন বণিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে জেলা ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক সামছুন্নবী তুলিপ ও সদর থানার পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করেন।

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, বাজারে সয়াবিন তেলের বেশ চাহিদা রয়েছে। এরপরও ওই ডিলার বাজারে তেল বিক্রি না করে অবৈধভাবে মজুত করে খোলাবাজারে বিক্রি করে আসছিলেন। কৃত্রিম সংকট তৈরি না করতে ও তেলে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ওই বাজারের ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। পরে মজুত করা এসব তেল ক্রেতাদের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হয়।