মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত একুশে পদকপ্রাপ্ত ফজলুর রহমান খান

একুশে পদক পাওয়ায় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খানকে সম্মিলিত নাগরিক সমাজ আয়োজিত গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক তাঁর (ফজলুর রহমান) হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন
প্রথম আলো

হাজারো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন প্রবীণ রাজনীতিক ফজলুর রহমান খান। মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য এ বছর তিনি একুশে পদক পেয়েছেন। তাই টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে নাগরিক গণসংবর্ধনার আয়োজন করেছিল সম্মিলিত নাগরিক সমাজ। ফজলুর রহমান খান টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

প্রবীণ কবি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল খান মাহবুবের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক। অন্যান্যের মধ্যে সাংসদ ছানোয়ার হোসেন, পৌর মেয়র এস এম সিরাজুল হক, সম্মিলিত নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক খন্দকার আশরাফুজ্জামান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে সাংসদ আতাউর রহমান খান, সাংসদ হাসান ইমাম খান, সাংসদ তানভীর হাসান ছোট মনির, সাংসদ আহসানুল ইসলাম, সাংসদ খন্দকার মমতা হেনা লাভলী উপস্থিত ছিলেন।

বিকেল পাঁচটায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যান। কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে শুরু হয় সংবর্ধনা। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে তিন শতাধিক ক্রেস্ট ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ফজলুর রহমান খান একজন ত্যাগী রাজনীতিক। ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগের মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়। ছাত্রজীবন শেষে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক জেল, জুলুম, নির্যাতন তাঁকে সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু কখনো তিনি আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। ৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনে তিনি প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে তিনি এ অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁকে একুশে পদক দেওয়া হয়েছে।’

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফজলুর রহমান খান বলেন, ‘টাঙ্গাইলবাসী আমাকে যে ভালোবাসা সম্মান দিল, তাতে আমি অভিভূত। আপনাদের ভালোবাসা আমাকে আপনাদের কাছে চিরঋণী করে রাখবে।’

সংবর্ধনায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিকসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ অংশ নেন।