‘মামলা তুলে না নিলে আরও খুন করা হবে’

আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করছেন মামলার বাদী। সোমবার শহরের একটি সংবাদপত্র কার্যালয়ে
ছবি: প্রথম আলো

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মামলা তুলে নিতে আসামিদের বিরুদ্ধে বাদীকে হত্যার হুমকিসহ ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। আসামিরা জামিনে বেরিয়ে এসে ‘মামলা তুলে না নিলে আরও খুন করা হবে’ হুমকি দিচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন। আজ সোমবার দুপুরে শহরের একটি সংবাদপত্রের কার্যালয়ে মামলার বাদী উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের মো. সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী বিবি ফাতেমা সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে বিবি ফাতেমা বলেন, তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর দেবর নুরুল ইসলাম সরদার ও তাঁর ছেলে মাহাবুব সরদারের সঙ্গে ১৪ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। জমিজমার বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা গত বছরের ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় তাঁর ছেলে মো. মহিউদ্দিন ওরফে কালুকে গলা কেটে হত্যা করেন। সেই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আটা কিনতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তাঁর ছেলে। রাত সাড়ে নয়টার দিকে খবর আসে, মহিউদ্দিনকে গলা কেটে হত্যা করে পার্শ্ববর্তী সরদারবাড়ির চলাচলের কাঁচা রাস্তার উত্তর পাশে ফেলে রেখে গেছেন। পরে তিনি (ফাতেমা) বোরহানউদ্দিন থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার বাদী আরও বলেন, মামলার পর পুলিশ তদন্ত করে আসামি মো. তানভীর হোসেন, মো. আবুল বাশার, মো. মহিবুল্লাহ, মোসা. আরজু বেগম ও মো. মাহাবুব আলমকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর আসামিরা জামিনে বেরিয়ে তাঁদের মামলা না তুললে আরও খুন হবে বলে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন। একাধিকবার লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁর বাড়িতে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন। মামলা প্রত্যাহার না করলে ছেলের মতো তাঁকেও হত্যা করার হুমকি দেন আসামিরা।

বিবি ফাতেমা আরও বলেন, এ বিষয়ে তিনি চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি বোরহানউদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের পরও আসামিরা প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। এ অবস্থায় তিনি ও তাঁর মৃত ছেলের স্ত্রী-সন্তানেরা আতঙ্কিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তিনি ছেলের হত্যাকারীদের কারাগারে বন্দী রাখতে এবং দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

তবে আসামি তানভীর হোসেন মুঠোফোনে তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।

বোরহানউদ্দিন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মহিউদ্দিন হত্যা মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। বাদীর অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁদের পুনরায় গ্রেপ্তার করা হবে।