মারামারি থামাতে গিয়ে নিহত

চায়ের দোকানে ২২০ টাকা বাকি ছিল। এই টাকা আদায় নিয়ে দোকানি ও ক্রেতার মধ্যে ঝগড়া চলছিল। তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। ঘটনা দেখে ক্রেতার মামা মারামারি থামাতে যান। একপর্যায়ে মারধরে আহত হয়ে মারা যান তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার মুড়ারবাজার এলাকায়। নিহত ব্যক্তির নাম ছমির আলী (৪৫)। তিনি আহমদপুর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ রাতেই তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে।

মছব্বির আলী পলাতক। তাঁকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
মো. রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিলেট

স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মুড়ারবাজারের চা-দোকানি মছব্বির আলীর কাছে ছমির আলীর ভাগনে পারভেজ মিয়ার ২২০ টাকা বাকি ছিল। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে পারভেজের সঙ্গে মছব্বিরের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। ছমির তা থামাতে যান। একপর্যায়ে মছব্বির ক্ষিপ্ত হয়ে ছমিরের বুকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারেন। এতে ঘটনাস্থলেই ছমির লুটিয়ে পড়েন। একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ছমির মারা যান।

খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ওসমানীনগর-বালাগঞ্জ-বিশ্বনাথ সার্কেল) মো. রফিকুল ইসলাম। আজ দুপুরে তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মছব্বির আলী পলাতক। তাঁকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।