মালবাহী ট্রেনে যাচ্ছে যাত্রী

চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী পার্সেল ট্রেনের কামরায় এভাবে বহন করা হচ্ছে যাত্রী। সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশন, আদমদিঘী, বগুড়া, ৪ মে
প্রথম আলো

সারা দেশে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ থাকলেও জরুরি মালামাল পরিবহনে রেলওয়ের বিভিন্ন রুটে কিছু পার্সেল ট্রেন চালু রয়েছে। মালামাল ছাড়া এসব ট্রেনে যাত্রী বহন নিষিদ্ধ থাকলেও বর্তমানে সব পার্সেল ট্রেনে অবাধে যাত্রী বহন করছে রেলওয়ের কিছু অসাধু কর্মচারী।

এ ছাড়া একই সঙ্গে ট্রেনে দায়িত্বরত রেল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় চলছে মাদক পরিবহন। সম্প্রতি র‍্যাব একটি পার্সেল ট্রেন থেকে ২৮২ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার এবং নিরাপত্তা বাহিনী ও রেলওয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের দুই সদস্যসহ চারজনকে আটক করে।

বুধবার বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার জংশন স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী পার্সেল ট্রেনের একমাত্র যাত্রীবাহী কামরায় ঠাসাঠাসি করে বসে রয়েছেন শতাধিক যাত্রী। আবার ট্রেনটি স্টেশনে থামার পর ট্রেন থেকে নেমে যায় প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন যাত্রী। বেশির ভাগ যাত্রীর মুখে নেই কোনো মাস্ক। ছবি তুলতে গেলে অনেকে কাপড়ে মুখ ঢেকে ফেলেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) বলেন, কামরায় যেসব যাত্রী রয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশ রেলওয়ে কর্মচারী বা স্বজন। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। সব পার্সেল ট্রেনেই একই অবস্থা।

সান্তাহার স্টেশন মাস্টার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘যাত্রীদের পার্সেল ট্রেনে না ওঠার জন্য জন্য আমরা নিষেধ করছি। কিন্তু বেশির ভাগ যাত্রী রেলসংশ্লিষ্ট হওয়ায় কিছু করা যাচ্ছে না।’ মাদক পরিবহনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি তদারকির জন্য ট্রেনে নিরাপত্তা বাহিনী থাকে। এখন তাঁরা যদি সঠিক দায়িত্ব পালন না করেন, তাহলে আমাদের করার কিছুই থাকে না।’