মাস্ক পরার আহ্বানকারীদের মুখেই ছিল না মাস্ক

সৈয়দ কাওসার আহমদ (বাঁ থেকে দ্বিতীয়) জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল হক সেলিম ও সভাপতি এ টি এম ফয়েজ উদ্দিন এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালেহ চৌধুরী (ডান থেকে যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়)
সংগৃহীত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সিলেটের আদালতপাড়ায় মাস্ক পরতে হবে, মাস্কবিহীন কাউকে আদালতে প্রবেশ না করার আহ্বান জানিয়ে প্রচারপত্র ও মাস্ক বিতরণ করা হয়। যে সংগঠন এই প্রচার চালায়, সেই সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মুখেই ছিল না মাস্ক।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ‘ল রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব সিলেট’ নামের আইনজীবীদের একটি সংগঠন এই কর্মসূচি পালন করে।

সিলেট আইনজীবী সমিতি ভবনের একটি কক্ষে কর্মসূচির উদ্বোধন হয়। এরপর আদালত প্রাঙ্গণে আসা লোকজনের মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচারপত্র ও মাস্ক বিতরণ করা হয়।

কর্মসূচি পালন শেষে সংগঠনটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে যে ছবি দিয়েছে, তাতে দেখা গেছে এক সারিতে দাঁড়ানো সাতজনের মধ্যে শুধু একজনের মুখে ছিল মাস্ক। আর বাকি ছয়জনের মধ্যে তিনজনের মুখে কোনো মাস্কই ছিল না, অপর তিনজনের মধ্যে দুজনের থুতনিতে ও একজনের গলায় ঝুলছিল মাস্ক। সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ কাওসার আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক এম এ সালেহ চৌধুরীসহ তিনজন ছিলেন মাস্কবিহীন।

জানতে চাইলে সভাপতি সৈয়দ কাওসার আহমদ মাস্কবিহীন এ রকম কর্মসূচি পালন উচিত হয়নি বলে স্বীকার করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার মুখে মাস্ক ছিল। মাস্ক বিতরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠান চলাকালে মুখ থেকে সরানো ছিল। অতিথিরাও আমার মতো মাস্ক পরা ছিলেন। তবে সবারই মাস্ক পরা উচিত ছিল। বিষয়টি আসলে অসতর্কতায় হয়ে গেছে। মাস্ক বিতরণের উদ্বোধনী পর্ব শেষে অবশ্য আমরা মাস্ক মুখে দিয়ে প্রচার চালিয়েছি।’

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ টি এম ফয়েজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল হক সেলিম। তাঁদের মাস্ক মুখ থেকে সরানো ছিল। অতিথি দুজনের পাশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকসহ আয়োজক তিনজনের মুখে কোনো মাস্কই ছিল না।