মায়ের কবরের ওপর পড়ে ছিল ছেলের লাশ

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেবীপুর ইউনিয়নে মায়ের কবরের ওপর থেকে আজ রোববার এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর মাথা, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের দাগ রয়েছে। পুলিশের ধারণা, ওই ব্যক্তিকে হত্যা করে লাশ ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।

নিহত ব্যক্তির নাম নুর ইসলাম (৪৫)। তিনি মোলানি গ্রামের বাসিন্দা। বৈরাগীর হাটে তাঁর মুদিদোকান রয়েছে।

জানতে চাইলে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন করার সময় নুর ইসলামের মাথা, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের দাগ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, নুর ইসলামকে অন্য কোথাও হত্যা করে লাশ মায়ের কবরের ওপর ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।

প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, নুর ইসলামকে অন্য কোথাও হত্যা করে লাশ মায়ের কবরের ওপর ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।
তানভিরুল ইসলাম, ওসি, ঠাকুরগাঁও সদর থানা

থানার পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার বাড়িতে দুপুরে খেয়ে নুর ইসলাম দোকানে যান। রাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে পাননি। এ ঘটনায় আজ দুপুরে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে যান তাঁর ছোট ভাই তৌহিদুল ইসলাম। সেখানে থাকা অবস্থায় পরিবারের লোকজন তৌহিদুলকে মুঠোফোনে জানান, নুর ইসলামের লাশ বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ের ভেতর মায়ের কবরের ওপর পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।

বৈরাগীর হাটের নৈশপ্রহরী ওমর আলী জানান, শনিবার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার সময় নুর ইসলামের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়েছিল।

নুর ইসলামের মেয়ে নুর নেহার বলেন, ২০১৮ সালে পঞ্চগড়ের তেলিপাড়া গ্রামের হাবিবুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বনাবনি না হওয়ায় তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। কিছুদিন আগে তাঁর অন্য জায়গায় বিয়ে হয়। এরপর থেকে হাবিবুল্লাহ তাঁর স্বামী ও বাবাকে মুঠোফোনে হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেও হাবিবুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ কামাল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।