মায়ের মৃত্যুর পরদিন বাবাকে হারালেন

বাবা-মায়ের সঙ্গে অদিতি (মাঝখানে)।
সংগৃহীত

সিলেটের সংস্কৃতিকর্মী অদিতি দাস করোনায় এক দিনের ব্যবধানে বাবা–মাকে হারিয়েছেন। তিনি এখন করোনার সঙ্গে লড়ছেন, এরই মধ্যে বাবা–মায়ের শেষকৃত্যও সেরেছেন।
সিলেটের সংস্কৃতিকর্মীরা জানান, অদিতির বাবা ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। ৬ অক্টোবর অদিতির মা রেনুকা চৌধুরীর (৬৮) শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরে তাঁর বাবা নিকুঞ্জ বিহারী দাস (৮২) ও তাঁর শরীরেও করোনা শনাক্ত হয়। অদিতির মায়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাঁকে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে রেনুকা মারা যান। স্ত্রীর মৃত্যুর এক দিন পর স্বামী নিকুঞ্জ বিহারীও আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় মারা যান।

নিকুঞ্জ বিহারী সিলেটের ব্লু-বার্ড স্কুলের গণিতের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। নগরের দাড়িয়াপাড়া এলাকায় তাঁর বাসায় স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। একমাত্র ছেলে ভারতে থাকেন। তাঁর স্ত্রীও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। ভাই দেশের বাইরে অবস্থান করায় নিজে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরও বাবা-মায়ের শেষকৃত্য অদিতিকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করতে হয়েছে। নগরের চালিবন্দর এলাকার মহাশ্মশানে তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
অদিতি দাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেবী দুর্গার বিসর্জনের দিন মায়ের শেষকৃত্য করতে হয়েছে। পরদিন বাবাকেও বিদায় দিতে হয়েছে। এক দিনের ব্যবধানে করোনা আমার বাবা–মাকে নিয়ে গেছে। এক শোক কাটিয়ে উঠার আগেই আরেক শোক।’
সংস্কৃতিকর্মী অদিতির বাবা-মায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত। তাঁরা অদিতির প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।