মির্জাগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে উপজেলা জামায়াতের আমির নিহত

নিহত মির্জাগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল মান্নান (৫৫)
সংগৃহীত

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল মান্নান (৫৫) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার দেউলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় আবদুল মান্নানকে বাঁচাতে এসে তাঁর ছেলেরাসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা হলেন নিহত আবদুল মান্নানের ছেলে সাইদুল (২৪) ও হাসিব (২০), চাচাতো ভাই আজহার (৭০), আজহারের ছেলে কামাল (২৩) এবং মান্নানের আরেক ভাতিজা শাকির (৪০)। আহত লোকজনকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুল মান্নানের বংশীয় চাচাতো ভাই কেতাব আলী (৬৫) ও তাঁর ছেলে মো. লিটনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আবদুল মান্নান দেউলী গ্রামের মৃত রফেজ উদ্দীন হাওলাদারের ছেলে। তিনি পশ্চিম সুবিদখালী ছালিয়া আলিম মাদ্রাসার আরবি বিষয়ের প্রভাষক ছিলেন।

কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কেতাব আলী (৬৫) ও তাঁর ছেলে লিটন (২৮), শিপন (২৬), সজল (২৪), শাওন (১৮), ছাব্বির (১৬) ও রাব্বি (১৪) দা ও ছোরা নিয়েরা আবদুল মান্নানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপান।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৯টার দিকে মাওলানা আবদুল মান্নান বাড়ির পুকুরের পাশে বিরোধপূর্ণ জমিতে একটি খড়ের গাদা স্থাপন ও রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য মাটি কাটতে গেলে একই বাড়ির কেতাব আলী ও তাঁর ছেলেরা বাধা দেন। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কেতাব আলী ও তাঁর ছেলেরা আবদুল মান্নানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। তাঁকে বাঁচাতে এলে তাঁর ছেলে সাইদুল ও হাসিব, চাচাতো ভাই আজাহার ও শাকির ও ভাতিজা কামাল গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল মান্নানকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় অন্যদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

নিহত ব্যক্তির বড় ভাই আবদুল লতিফ হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, পুকুর পাড়ে একটি খড়ের গাদা তৈরি করার সময় তাঁদের বাড়িরই কেতাব আলী ও তাঁর ছেলে লিটন (২৮), শিপন (২৬), সজল (২৪), শাওন (১৮), ছাব্বির (১৬) ও রাব্বি (১৪) দা ও ছোরা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কেতাব আলী ও তাঁর ছেলে লিটনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালীর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।