মির্জাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬

সড়ক দুর্ঘটনায় বাস ও ট্রাক দুমড়েমুচড়ে যায়। কুর্ণী, মির্জাপুর, টাঙ্গাইল , ৪ ডিসেম্বর
প্রথম আলো

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার কুর্ণী এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারীসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন। আজ শুক্রবার সকালে পৌনে সাতটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত লোকজনের মধ্যে চন্ডু (৩২) নামে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শানেরহাট গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকের চালকের সহকারী ছিলেন। আহত লোকজনের মধ্যে পাঁচজন মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই স্থানে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী একটি বাসের বিকল চাকা মেরামত করছিলেন চালকের সহকারীরা। এ সময় যাত্রীদের অনেকে বাস থেকে নিচে নেমে দাঁড়িয়েছিলেন। এমন সময় থেমে থাকা বাসটিকে পেছন থেকে ফুলকপিবোঝাই একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে বাসের সামনের অংশ রাস্তার পাশের একটি ঘরের দেয়াল ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। আর ট্রাকের সামনের অংশ বাসের পেছনে ধাক্কা লাগলে বাসের পেছন ও ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নারীসহ বাসের চার যাত্রী নিহত হন।
আহত মানুষের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা, মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানা, মির্জাপুরের ট্রাফিক পুলিশ ও মির্জাপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারকাজে অংশ নেন। আহত লোকজনকে কুমুদিনী হাসপাতালে নিলে সেখানে দুজন মারা যান।

আরও পড়ুন

রাস্তার পাশের ঘরে বিছানায় নাতি নয়ন মিয়াকে (১১) নিয়ে শুয়ে ছিলেন বিধবা শান্তি বেগম। তিনি জানান, হঠাৎ ঘরে বিকট শব্দ শুনতে পান তিনি। মুহূর্তের মধ্যে তাঁদের খাটের ওপর ইট-বালু উড়ে এসে পড়ে। বিছানাটি ভাঙা দেয়াল থেকে দূরে ছিল। এ জন্য তাঁরা বেঁচে গেলেও তাঁদের ঘরে থাকা টেলিভিশন, আলমারিসহ মূল্যবান অনেক জিনিস ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছে।
মির্জাপুরের ট্রাফিক পরিদর্শক মো. শওকত হোসেন জানান, নিহত লোকজনের পরিচয় খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত ট্রাকচালক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাসচালকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা চলছে। নিহতদের মধ্যে চারজনের লাশ হাইওয়ে পুলিশের কাছে ও দুজনের লাশ কুমুদিনী হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।