‘মিলাররা সরকারি গুদামে চাল দিতে ব্যর্থ হলে চাল আমদানি করা হবে’

নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় সরকারি গুদামে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। আজ রোববার দুপুরে
প্রথম আলো

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, গত বোরো মৌসুমের মতো চলতি আমন মৌসুমে দেশের মিলাররা (চালকলমালিক) সরকারি গুদামে চাল দিতে ব্যর্থ হলে মজুত ঠিক রাখতে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হবে। তবে আমদানির সুযোগ পাবেন না মিলাররা। সরকার নিজেই প্রয়োজনমাফিক চাল আমদানি করবে।

আজ রোববার দুপুরে খাদ্যমন্ত্রী তাঁর নির্বাচনী এলাকা নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় আমন ধান সংগ্রহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, গত বোরো মৌসুমে চুক্তি করেও অনেক মিলমালিক সরকারি গুদামে চাল দেননি। তারপরও দেশে সরকারি গুদামে চালের মজুতে তেমন সংকট দেখা দেয়নি। বোরো মৌসুমে মিলাররা সরকারি গুদামে চাল না দিলেও কৃষকেরা যাতে ধানের ন্যায্যমূল্য পান, সেই স্বার্থ দেখতে গিয়ে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করেনি সরকার। মিলারদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি আমন মৌসুমে সরকারি গুদামে চাল সংগ্রহ কার্যক্রমে চালের দাম কেজিপ্রতি ১ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। এরপরও মিলাররা সরকারকে চাল দিতে ব্যর্থ হলে মজুত ঠিক রাখতে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হবে। তবে আমদানির সুযোগ পাবেন না মিলাররা। সরকার নিজেই প্রয়োজনমাফিক চাল আমদানি করবে।

সরকারি মজুত ঠিক রাখার জন্য সরকার ইতিমধ্যে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কখন চাল আমদানি করা হবে, সেটা নির্ভর করছে বাজারদর ও মজুত পরিস্থিতির ওপর।
সাধন চন্দ্র মজুমদার, খাদ্যমন্ত্রী

মন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি মজুত ঠিক রাখার জন্য সরকার ইতিমধ্যে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কখন চাল আমদানি করা হবে, সেটা নির্ভর করছে বাজারদর ও মজুত পরিস্থিতির ওপর। চাল আমদানি শুরু হলে কতটুকু চাল আমদানি করা হবে, সেটার পরিমাণ নির্ভর করছে বাজারদরের স্থিতিশীলতার ওপর।

কৃষকদের ধানের ন্যায্যমূল্য দিতে সরকার বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চাল আমদানি করা হবে পরিমাণমতো, যাতে কৃষকেরা ধানের ন্যায্যমূল্যও পান। মৌসুমের শুরুতেই ধান-চালের দর বেঁধে দেওয়া এবং সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহের পরিমাণ বৃদ্ধি করায় সুফল পাচ্ছেন কৃষকেরা। কয়েক বছর ধরে কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষকদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়েছিল। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় যুগোপযোগী এবং সময়মতো উদ্যোগ নেওয়ায় কৃষকেরা এখন কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন।

এ সময় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি এম ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, সাপাহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাজাহান আলী মণ্ডল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কল্যাণ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।