মুঠোফোন চুরির অপবাদ দিয়ে শিশু পিটিয়ে জখমের অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ জেলার মানচিত্র

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মুঠোফোন চুরির অভিযোগ এনে মেরাজুল ইসলাম (৯) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসার মুহতামিম (শিক্ষক) এরশাদ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এরশাদ আলী সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের চড়িয়া শিকার দক্ষিণপাড়া কওমি মাদ্রাসার মুহতামিম। আহত শিশু মেরাজুল ইসলাম স্থানীয় লাঙ্গলমোড়া গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে। আহত শিশুটিকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার দুপুরে ওই মাদ্রাসার মোহতামিম এরশাদ তাঁর কক্ষে মুঠোফোনটি রেখে গোসল করতে যান। ফিরে এসে সেটি না পেয়ে শিশু মেরাজুলকে সন্দেহ করে তাকে তাঁর কক্ষে নিয়ে আটকে রেখে বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাত, পা ও পিঠে জখম করেন। খবর পেয়ে তার স্বজনেরা এসে আহত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন।

শিশুটির মা সোনালি খাতুন বলেন, ‘আমার ছেলে এমন চুরির ঘটনা ঘটাতেই পারে না। অযথা আমার শিশুসন্তানকে অমানবিকভাবে মারপিট করেছেন মাদরাসার মোহতামিম। আমি এর বিচার চাই।’

সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে ওই অভিযুক্ত শিক্ষককে একমাত্র আসামি করে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় থানায় মামলা করেছেন। রাতেই মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।