মুঠোফোন চুরির অভিযোগে শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, গ্রেপ্তার ১

পটুয়াখালী জেলার মানচিত্র

মুঠোফোন চুরির অভিযোগে পটুয়াখালীর গলাচিপায় রাকিব নামের ১৪ বছরের এক শিশুকে গাছের সঙ্গে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন ও মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটিকে বাঁচাতে এসে শিশুটির মা–বাবাও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর শুক্রবার বিকেলে শিশুটির মা বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় একটি মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জড়িত সোহেল মৃধা (৩৮) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের ফুলখালী গ্রামের জুয়েল মৃধার মুঠোফোন চুরি হলে পাশের কৃষ্ণপুর গ্রামের মকবুল গাজীর ছেলে রাকিব গাজীকে সন্দেহ করা হয়। এরপর শুক্রবার সকালে তাকে ঘর থেকে ডেকে নেওয়া হয়। তারপর রাস্তার পাশে রাকিবকে গরু বাঁধার রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে ফেলে গ্রামের জুয়েল মৃধা, রাকিব মৃধা, সোহেল মৃধা, এমাদুল মৃধা, জাকির মৃধাসহ অজ্ঞাত আরও দুই–তিনজন মিলে রাকিবকে অমানবিক নির্যাতন করে। চুরির অভিযোগ এনে তারা শিশুটির মাথার চুলের কিছু অংশ কেটে দেয়।

এদিকে শিশুটির ডাক ও চিৎকার শুনে তার বাবা মকবুল গাজী ও মা মোর্শেদা বেগম এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা তাঁদেরও অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মারধর করেন।

শিশু রাকিব স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে দাবি করে, সে মুঠোফোন চুরি করেনি। তবে তাকে ডেকে নিয়ে একটি মুঠোফোন পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে মুঠোফোন পেয়েছেন জানিয়ে চলে যান। পরে তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়।

গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা মোর্শেদা বেগম বাদী হয়ে জুয়েল মৃধা, রাকিব মৃধা, সোহেল মৃধাসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত তিনজনের নামে একটি মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে অভিযুক্ত সোহেল মৃধাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।