মুঠোফোনে কল করলেই বিনা মূল্যে অক্সিজেন

সিলেটে দীর্ঘ মেয়াদে বিনা মূল্যে অক্সিজেন সেবা চালুর ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী। আজ দুপুরে নগরের নাইওরপুল এলাকায় একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে
প্রথম আলো

এত দিন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে বিনা মূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ করা হতো। এখন থেকে কোভিডসহ যেকোনো রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী দীর্ঘ মেয়াদে এ সেবা দেওয়া হবে। মুঠোফোন নম্বরে কল করা হলেই পৌঁছে দেওয়া হবে অক্সিজেন।

সিলেটে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার জলিলের ব্যক্তিগত ‘আবদুল জব্বার জলিল ট্রাস্ট’ এই উদ্যোগ নিয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরীর ব্যবস্থাপনায় এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগরের নাইওরপুল এলাকায় একটি হোটেলের সম্মেলনকক্ষে মতবিনিময় সভা করে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিলেট নগর ও শহরতলির বাসিন্দাদের জন্য এখন থেকে দীর্ঘমেয়াদি বিনা মূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে। এ জন্য সপ্তাহের ৭ দিন ও দিনে ২৪ ঘণ্টা দুটি মুঠোফোন নম্বর চালু রাখা হয়েছে। নম্বর দুটি হলো ০১৭৩৩৩০৯৮৬২ ও ০১৭৩৩৩০৯৮৬৩। এ সেবা দেওয়ার জন্য সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসক এবং নার্সও রাখা হয়েছে। এর আগে একই ব্যবস্থাপনায় গত ৪ জুলাই থেকে কোভিডের রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে এ সেবা দেওয়া হতো। প্রায় দেড় মাসে কোভিডে আক্রান্ত ও মুমূর্ষু শতাধিক রোগী এ সেবা নিয়েছেন।

সভায় আবদুল জব্বার জলিল ট্রাস্টের সভাপতি আবদুল জব্বার জলিল সভাপতিত্ব করেন। সিলেট মহানগর শিল্প ও বণিক সমিতির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন এটি সঞ্চালনা করেন। বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আদনান হাসান, মহানগর বণিক সমিতির সহসভাপতি খায়রুল হোসেন, জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার পর সিলেটসহ সারা দেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংকট দেখা দেয়। সিলিন্ডারসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামের দাম বাড়তে থাকে। এ কারণে মুমূর্ষু অনেককেই ঠিকমতো অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়নি। এমন কঠিন সময়ে এগিয়ে এসেছিলেন আবদুল জব্বার জলিল ও শফিউল আলম চৌধুরী।

শফিউল আলম বলেন, কার্যক্রমের প্রথম দিকে জরুরি বিবেচনায় রোগীদের বাসায় অথবা বাসা থেকে হাসপাতালে নেওয়ার সময় অক্সিজেন সরবরাহ করা হতো। এখন সেটি বর্ধিত করে দীর্ঘ মেয়াদে রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘করোনার প্রথম দিকে বাজারে অক্সিজেনের সংকট দেখা দিয়েছিল। সে সময় আমরা দেখেছি, অক্সিজেনের জন্য অনেকেরই কষ্ট করতে হয়েছে। এখন কোভিড রোগী ছাড়াও যাঁদের দীর্ঘ মেয়াদে অক্সিজেন লাগে, তাঁদেরও এ সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

আবদুল জব্বার জলিল বলেন, ‘প্রথমে সাময়িক সময়ের জন্য বিনা মূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। এ সেবা দিতে গিয়ে আমরা দেখেছি, কোভিডে আক্রান্ত ছাড়াও অনেকেরই চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন প্রয়োজন। সেগুলো বিবেচনায় দীর্ঘ মেয়াদে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’