মুন্সিগঞ্জে আগুনে এক পরিবারের চারজন দগ্ধ

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় আগুনে একই পরিবারের চারজান দগ্ধ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকায থেকে তোলা
ছবি: প্রথম আলো

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় বিস্ফোরণে একটি বাসার চারজন দগ্ধ হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে সদর উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ বলছে, ঘরে জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

একই পরিবারের দগ্ধ চারজন হলেন মো. কাউসার খান (৪২), কাউসারের স্ত্রী শান্তা বেগম (৩৮), ছেলে ইয়াসিন খান (৫) ও মেয়ে নহর খান (৩)। কাউসার আবুল খায়ের কোম্পানি লিমিটেডের রিভার ট্রান্সপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেন। চাকরি সুবাদে তিনি পরিবার নিয়ে সদর উপজেলার পশ্চিম মুক্তারপুর এলাকার একটি তিনতলা বাড়ির দুইতলায় থাকেন।

স্থানীয় ব্যক্তিদের ভাষ্য, আজ ভোর সাড়ে চারটার দিকে কাউসার খানদের বাড়িতে বিকট শব্দ হয়। তাঁদের ঘরের সবাই চিৎকার করছিলেন। পরে লোকজন বের হয়ে দেখতে পান, তাঁদের বাড়িতে আগুন লেগেছে। তখন ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। প্রতিবেশীরা সেখানে গিয়ে পানি দিয়ে আগুন নেভান।

কাউসারদের প্রতিবেশী শাহ সিমেন্টের মেশিন অপারেটর আবদুস সামাদ বলেন, ‘বিস্ফোরণের শব্দ শুনে কাউসার খানের বাসায় এসে দেখি, তাঁদের ঘরের ভেতর আগুন জ্বলছিল। আমরা দরজায় ধাক্কা দিই। কাউসার খান নিজেই দরজা খোলেন। আমরা চারজনকে দগ্ধ অবস্থায় বের করি। দ্রুত তাঁদের ঢাকায় পাঠিয়ে দিই।’

মুন্সিগঞ্জ তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যতটুকু দেখেছি, গ্যাসের লিকেজ থেকে এ ঘটনা ঘটেনি। তবে এমন হতে পারে অসাবধানতাবশত পরিবারটি গ্যাসের চুলা ছেড়ে রেখে ঘুমিয়ে ছিল। রাতের বেলায় যখন তাঁরা কোনো কারণে বৈদ্যুতিক সুইচ অন করলে সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।’

মুন্সিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. আবু ইউসুফ বলেন, বাসার দরজা–জানালা, বিছানা, মশারি সব আগুনে পুড়ে গেছে। দগ্ধ সবাইকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে কোনোভাবে বাসার কক্ষে গ্যাস জমা হয়। পরে মশার কয়েল বা বিদ্যুতের সুইচ থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাজিব খান বলেন, ঘরের কক্ষে জমে থাকা গ্যাস থেকে এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।