মুন্সিগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহতের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় দুজন নিহতের ঘটনায় করা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাবাজারে একজন নিহতের ঘটনায় সোমবার রাতে মামলা হয়েছে। সেই মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পঞ্চসার ইউনিয়নে সহিংসতায় একজন নিহতের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন আবুল কাসেম (৫৫) ও ইয়াসিন সরদার (২০)। তাঁরা দুজন বাংলাবাজারের ভুতার চর এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার তৃতীয় দফায় ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বানিয়াল বুকৈলাশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনা চলছিল। সে সময় বই প্রতীকের সদস্য প্রার্থী আরপা বেগম ও কলম প্রতীকের রাবেয়া বেগমের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রাবেয়ার ভাগনে শাকিল মোল্লা (২৭) নিহত হন।

এদিকে পঞ্চসারে ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী গোলাম মোস্তফাকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে গোলাম মোস্তফার কর্মী-সমর্থকেরা টেলিফোন প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর ভাই রিয়াজুল শেখের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় তাঁদের পিটুনিতে রিয়াজুল মারা যান।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাজিব খান প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাবাজারের ঘটনায় সোমবার রাতে নিহত শাকিলের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এজাহারভুক্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

মুন্সিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত আবুবক্কর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, পঞ্চসারের ঘটনা নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা চলছে। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি। যেসব এলাকায় নির্বাচন–পরবর্তী সহিংসতা ঘটেছে, সেসব এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।