মুহূর্তেই শেষ চার দম্পতি ও তাঁদের সাত সন্তানের জীবন

দুর্ঘটনার পর পুড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস। আজ শুক্রবার দুপুরে রাজশাহীর কাটাখালীতে
ছবি: শহীদুল ইসলাম

রাজশাহীর কাটাখালীতে বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের পর আগুনে পুড়ে নিহত ১৭ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁদের সবার বাড়িই রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়। এঁদের মধ্যে চারটি পরিবারের ১৬ জন ছিলেন। পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিরোদা রানী রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আজ শুক্রবার দুপুরে রাজশাহীর কাটাখালী থানার সামনে রাজশাহী-নাটোর সড়কে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে মাইক্রোবাসে আগুন ধরে যায়। আগুনে পুড়ে মারা যান মাইক্রোবাসের ১৭ যাত্রী। স্বাধীনতা দিবসের ছুটিতে তাঁরা সবাই রংপুর থেকে রাজশাহীতে বেড়াতে আসছিলেন। পুড়ে চেহারা বিকৃত হয়ে যাওয়ার কারণে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহত যাত্রীদের সবার লাশ শনাক্ত করা যায়নি। চিকিৎসকেরা বলছেন, ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া এঁদের চিহ্নিত করা কঠিন হবে।

আরও পড়ুন

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত ১৭ জনের বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে। এর মধ্যে চৈত্রকোল ইউনিয়নের বড়রাজাপুর গ্রামের একই পরিবারের পাঁচজন, রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় মহাজিদপুর গ্রামের একই পরিবারের পাঁচজন, রায়পুর ইউনিয়নের দাড়িকাপাড়া গ্রামের একই পরিবারের তিনজন, পৌর এলাকার প্রজাপাড়ার একই পরিবারের তিনজন এবং দুরামিঠিপুর গ্রামের একজন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন বড় রাজারামপুর গ্রামের সালাহউদ্দিন (৪৪), তাঁর স্ত্রী সামসুন্নাহার (৩২), শ্যালিকা কামরুন্নাহার (২৫), ছেলে সাজিদ (৯) ও মেয়ে সাবাহ খাতুন (৩), রামনাথপুর ইউনিয়নের বড় মহাজিদপুর গ্রামের ফুল মিয়া (৪০), তাঁর স্ত্রী নাজমা বেগম (৩২), ছেলে ফয়সাল (১৩), মেয়ে সুমাইয়া (৭) ও মেয়ে সাবিহা (৩), পৌরসভার প্রজাপাড়ার তাজুল ইসলাম (৪০), স্ত্রী মুক্তা বেগম (৩৫), ছেলে ইয়ামিন (১৪), রামনাথপুর ইউনিয়নের দাড়িকাপাড়া গ্রামের মোখলেছার রহমান (৪০), স্ত্রী পারভিন বেগম (৩৫), ছেলে পাভেল মিয়া (১৮) এবং দূরামিঠিপুর গ্রামের সাইদুর রহমান (৪৫)।

বড় রাজারামপুর গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম বলেন, সালাউদ্দিন বিয়ে করে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে থাকতেন। স্ত্রী, শ্যালিকা ও দুই সন্তানকে নিয়ে অন্যদের সঙ্গে রাজশাহীতে ঘুরতে যান। এ সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে তাঁরা মারা যান।

আরও পড়ুন