মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আ.লীগ প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী

নবী নেওয়াজ সরকার, শামীম মণ্ডল, আবুল হাসান, আনিছুজ্জামান

আগামীকাল রোববার ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভা নির্বাচনের ভোট। চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন। তবে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে দুজনকেই মানছেন সাধারণ ভোটাররা। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নবী নেওয়াজ সরকার ও স্বতন্ত্র আনিছুজ্জামান আনিছের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করেন তাঁরা।

নির্বাচনকে ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সংগঠিত। ফলে নবী নেওয়াজ সরকার বেশ শক্ত অবস্থায় রয়েছেন। তবে তাঁকে মোকাবিলা করতে হবে বর্তমান মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (জগ প্রতীক) এ বি এম আনিছুজ্জামানের সঙ্গে। আনিছুজ্জামান উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি। এবার তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাননি। গত নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন। ফলে এবারও যে তিনি শক্ত প্রার্থী, তা নৌকার কর্মীরাও মানছেন।

মাঠে থাকা অপর দুই প্রার্থী বিএনপির মনোনীত প্রার্থী (ধানের শীষ প্রতীক) রুবায়েত হোসেন শামীম মণ্ডল এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী (হাতপাখা প্রতীক) আবুল হাসান। তবে তাঁদের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা তেমন জোরদার নয়।

গত বুধবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো পৌর এলাকা মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে। পাড়ায় পাড়ায় প্রার্থীদের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চলছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

সাধারণ ভোটাররা বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিছুজ্জামান বর্তমান মেয়র হওয়ায় তাঁর জনসম্পৃক্তরা বেশি। তবে দুজনেরই দলীয় ভোটের পাশাপাশি এলাকাভিত্তিক ভোট রয়েছে।

আনিছুজ্জামান প্রথম আলোকে, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গিয়ে তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। দিনে পোস্টার লাগানোর পর রাতে ওই সব পোস্টার তুলে ফেলা হচ্ছে। বেশ প্রতিকূল অবস্থায় রয়েছেন।

তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নবী নেওয়াজ সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন ও ত্রিশালে আওয়ামী লীগের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানই নৌকার জয়কে সহজ করে দেবে।