মেঘনায় আলুর ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় এবার আলুর ভালো ফলন হয়েছে। লাভবান হয়েছেন কৃষকেরা। ছবিটি মেঘনার ভাওরখোলা গ্রামের মাঠ থেকে সম্প্রতি তোলা
আবদুর রহমান ঢালী

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার আটটি ইউনিয়নে চলতি বছর আলুর ভালো ফলন হয়েছে। এতে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। আলু তোলার কাজ প্রায় শেষ। বাজারে প্রতি কেজি আলুর খুচরা মূল্য ২০ টাকা। কৃষকেরা পাচ্ছেন প্রতি কেজি ১৫ থেকে ১৬ টাকায়।

চলতি বছর মেঘনা উপজেলার মির্জানগর, রামনগর, মহেষখোলা, জয়নগর, সোনাকান্দা, বড়নোয়াগাঁও ও চন্দনপুর গ্রামের মাঠে আলুর আবাদ সবচেয়ে ভালো হয়েছে। ভাওরখোলা ও গোবিন্দপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠজুড়ে আলুর খেত। এসব মাঠে চলতি বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।

উপজেলার মহেষখোলা গ্রামের কৃষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, চলতি বছর তিনি ৩৬ বিঘা জমিতে গোল আলুর আবাদ করেছেন। এতে প্রতি বিঘা জমি আবাদে খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় ১০০ মণের বেশি ফলন হয়েছে। প্রতি মণ ৫০০ টাকা হিসাবে ১ বিঘা জমির আলু ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি। লাভ হচ্ছে বিঘা প্রতি ১৫ হাজার টাকা।

উপজেলার সোনারচর গ্রামের কৃষক কামরুল ইসলাম ১৬ বিঘা, রামনগর ছয়আনি গ্রামের কৃষক আল আমিন ১৬৫ বিঘা ও মির্জানগর গ্রামের কৃষক শাহাব উদ্দিন ১০০ বিঘা জমিতে আলুর আবাদ করে লাভবান হয়েছেন। এই কৃষকেরা বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আলুতে পোকার আক্রমণ হয়নি। অসময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় জমিতে পানি জমে আলু নষ্ট হয়নি।

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। খেতে কাজ করছেন এক কৃষক। সম্প্রতি মেঘনার ভাওরখোলা গ্রামের মাঠে
প্রথম আলো

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসা. সেলিমা খাতুন বলেন, চলতি বছর মেঘনার কৃষকেরা ৩১০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ করেছেন। গত বছর আবাদ করেছিলেন ২৫০ হেক্টর জমিতে। গত বছরের তুলনায় এ বছর আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। পোকার আক্রমণ ও অসময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকেরা আলু চাষে লাভবান হয়েছেন।