মেঘনায় যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতি, আহত ৫

অপরাধ
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী নৌকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাত দল স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মুঠোফোন লুট করেছে। আজ শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত দলের হামলায় এক গৃহবধূসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামের মাঝি ফয়জুল হক ভূঁইয়া ও তাঁর এক সহযোগী ইঞ্জিনচালিত যাত্রীবাহী নৌকা নিয়ে সকাল সাড়ে আটটার দিকে মেঘনা নদীর বরইচারা নৌঘাট থেকে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। নৌকায় পাকশিমুল ইউনিয়নের বরইচারা, পরমানন্দপুর ও ষাটবাড়িযা গ্রামের ৪৫ থেকে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে এক নববধূসহ ১০–১২ জন নারী ছিলেন। নৌকাটি বরইচারা গ্রাম থেকে ছাড়ার আধঘণ্টা পর রাজাপুর এলাকায় পৌঁছালে অপর একটি নৌকায় করে পাঁচ থেকে ছয়জনের একদল ডাকাত গতি রোধ করে। ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে ৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ দেড় থেকে ২ লাখ টাকা ও ৩০-৩৫টি মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ডাকাতদের মারধরে এক নারীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

ডাকাতির কবলে পড়া নৌকার যাত্রী লিয়াকত আলী প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাত দল মাঝনদীতে তাঁদের নৌকাটির ইঞ্জিন বন্ধ করে ডাকাতি চালায়। ডাকাতদের হাতে দা, বল্লম ও একটি বন্দুক ছিল।

অপর যাত্রী আইয়ুব আলী বলেন, ‘নৌকায় আমার প্রতিবেশী মমিন মিয়ার স্ত্রী ছিলেন। ডাকাত দল তাঁর কান ছিঁড়ে স্বর্ণ নিয়ে গেছে। সবার কাছ থেকে নগদ প্রায় দেড়–দুই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে।’

উপজেলার দুবাজাইল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ডাকাতেরা মুখোশ পরা ছিল। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে।