মেয়র প্রার্থীর সভায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ

শরীয়তপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় দুজন কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ফরিদ শেখসহ ৬ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। তাঁদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শরীয়তপুর সদরের পালং মডেল থানা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ১৬ জানুয়ারি শরীয়তপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আজ শনিবার বিকেলে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্বর্ণঘোষ এলাকায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী পারভেজ রহমানের নির্বাচনী সভা চলছিল। সেই সভায় কাউন্সিলর প্রার্থী ফরিদ শেখ ও আবদুর রশিদ সরদার তাঁদের সমর্থকদের নিয়ে হাজির হন। সভায় রশিদ সরদারের ভাই বক্তব্য দেওয়ার সময় এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান। তখন সেখানে উপস্থিত আরেক প্রার্থী ফরিদ শেখ ও তাঁর সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ হন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ফরিদ শেখ, তাঁর সমর্থক আজাহার খান, রমিজ উদ্দিন শরীফ, রবিন শেখ, মানিক খান ও আলমগীর মোল্যা আহত হন।

সংঘর্ষের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী পারভেজ রহমান। এমন পরিস্থিতি দেখে তাঁর কর্মীরা তাঁকে মঞ্চ থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগের উদ্যোগে উঠান বৈঠক চলছিল। সেখানে দুই কাউন্সিলর প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকেরা উপস্থিত হন। তাঁদের সমর্থকদের বক্তব্য দেওয়ার সময় সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে পুলিশে খবর দিয়ে তিনি ওই স্থান ত্যাগ করেন।

ফরিদ শেখের সমর্থক আজাহার খান বলেন, রশিদ সরদার কাউন্সিলর থাকার সময় এলাকায় কোনো উন্নয়ন করেননি। এমন বক্তব্য দিলে রশিদ ও তাঁর সমর্থকেরা তাঁদের ওপর হামলা চালান। আর মাদকের বিষয়ে বক্তব্য দেওয়া নিয়ে প্রতিবাদের অভিযোগটি সঠিক নয়।

কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুর রশিদ সরদার বলেন, ‘ফরিদ শেখ মাদক মামলার আসামি। তিনি ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন। এমন তথ্য আমরা প্রচার করিনি। আমার ভাই তাঁর বক্তব্যে বলেছেন এলাকা থেকে মাদক নির্মূল করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তখন ফরিদ ও তাঁর সমর্থকেরা হামলা চালান। এতে কেউ কেউ আহত হতে পারেন।’

এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দুজন কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তাঁদের মধ্যে একজন প্রার্থী মাদক মামলার আসামি। মেয়র প্রার্থীর সভায় তাঁরা উপস্থিত হয়ে এ বিষয় নিয়ে বাদানুবাদ শুরু হলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।