মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় হামলা, মা গুরুতর আহত

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় কিশোরীর মায়ের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওই নারীর ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল কেটে গেছে। এ ঘটনায় গত রোববার মামলা হলেও আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘ওই নারীকে মারধরের ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। তাঁর ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে কাটা জখম রয়েছে। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।’

ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মেয়েটির মায়ের ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলের মাঝামাঝি কেটে যায়। স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

থানা–পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীর বাবা বিদেশে থাকেন। শনিবার বিকেলে মেয়েটি ও তার মা বাজারে যেতে বাড়ি থেকে বের হন। পথে শ্যামনগর গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও মিন্টু মিয়া দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁরা মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করেন। মেয়েটির মা এর প্রতিবাদ করেন। আনোয়ার ও মিন্টু তাঁর সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। একপর্যায়ে আনোয়ার ও মিন্টু তাঁর ওপর হামলা চালান। তাঁকে মারধর করে আহত করা হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাঁর ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলের মাঝামাঝি কেটে যায়। স্থানীয় ব্যক্তিরা তাঁকে প্রথমে কৈতক পল্লি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার ঘটনায় পরের দিন মেয়েটির চাচা আনোয়ার, মিন্টুসহ ছয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।

মামলাটির বাদী বলেন, আনোয়ার, মিন্টুসহ কয়েকজন মেয়েদের রাস্তাঘাটে উত্ত্যক্ত করেন। কিন্তু মেয়েরা এসব বাড়িতে বলে না। ওই দিন প্রতিবাদ করায় বখাটেরা তাঁর ভাবিকে মারধর করেন। তাঁর ভাবি চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে এসেছেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেও আসামিদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।