মোংলা বন্দর পৌরসভায় দ্রুত নির্বাচনের দাবি

মোংলা বন্দর পৌরসভার নির্বাচনের দাবিতে রোববার সকালে পৌর এলাকার চৌধুরী মোড়ে মানববন্ধন হয়। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ও মোংলা নাগরিক সমাজ যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে
প্রথম আলো

বাগেরহাটের মোংলা বন্দর পৌরসভায় দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে আজ রোববার সকালে পৌর এলাকার চৌধুরী মোড়ে মানববন্ধন হয়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ও মোংলা নাগরিক সমাজ যৌথভাবে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) মোংলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ নজরুল ইসলাম।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে মোংলা বন্দর পৌরসভার নির্বাচন হচ্ছে না। বর্তমান মেয়রের নেতৃত্বে কতিপয় ব্যক্তি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন। নেতৃত্বের বিকাশ, সুশাসন নিশ্চিত এবং গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় সব জটিলতা নিরসন করে দ্রুততম সময়ে মেয়াদোত্তীর্ণ মোংলা বন্দর পৌরসভার নির্বাচন দিতে হবে।
বক্তারা বর্তমান মেয়র মো. জুলফিকারের উদ্দেশে বলেন, মেকানিজম করে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে জনগণের রায় ছাড়া জগদ্দল পাথরের মতো চেয়ার আঁকড়ে থাকা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও সংস্কৃতির পরিপন্থী। নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনেরও আহ্বান জানান তাঁরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সুজনের মোংলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নূর আলম শেখ, মুক্তিযোদ্ধা মহসিন হোসেন, মোংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান গাজী, নাগরিক সমাজের নেতা নাজমুল হক, মনির হোসেন, কমলা সরকার, শ্রমিকনেতা আবদুস সালাম ব্যাপারী প্রমুখ। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
সর্বশেষ মোংলা বন্দর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন মোংলা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী। প্রায় ১০ বছর মেয়াদে তিনিই মেয়র হিসেবে পৌরসভার দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

১১ সেপ্টেম্বর মোংলা বন্দর পৌরসভা নিয়ে প্রথম আলোয় ‘কবে হবে পৌর নির্বাচন?’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ার জন্য অনেকে বর্তমান মেয়রকে দুষছেন। ক্ষমতায় থাকার জন্য মেয়াদ বাড়িয়ে নিতেই তিনি অনুসারীদের দিয়ে উচ্চ আদালতে নির্বাচনের আগে রিট আবেদন করেছিলেন। তবে মেয়র এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি নিজেই এ মামলার বিবাদী। তিনিও এ বিষয়ের নিষ্পত্তি চান।