মোংলায় নির্বাচনী তোরণে বঙ্গবন্ধুর ছবিতে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার একটি তোরণে বঙ্গবন্ধুর ছবিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে তোরণের বাঁ পাশে সাঁটানো বঙ্গবন্ধুর ছবিটির মাঝখান থেকে পুড়ে গেছে
সংগৃহীত

বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার একটি তোরণে বঙ্গবন্ধুর ছবিতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে তোরণের বাঁ পাশে সাঁটানো বঙ্গবন্ধুর ছবিটির মাঝখান থেকে পুড়ে গেছে। লক্ষণীয় বিষয় হলো, পুরো তোরণের সবকিছু অক্ষত থাকলেও শুধু বঙ্গবন্ধুর ছবিটিই পুড়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতের কোনো একসময় মোংলা পৌর শহরের ১ নম্বর জেটি এলাকায় ছবিটিতে কে বা কারা অগ্নিসংযোগ করেছে।

স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ আবদুর রহমানের প্রচারণায় তাঁর সমর্থকেরা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তোরণটি নির্মাণ করেন, যার এক পাশে লম্বালম্বিভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্য পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের ছবি রয়েছে। তোরণের ওপরে রয়েছে মোংলা পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ আবদুর রহমানের একটি নির্বাচনী ব্যানার। তোরণটির পাশেই ইজিবাইক মালিক সমিতির অফিস। ব্যানারে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নিচে সৌজন্যে ওই ইজিবাইক মালিক সমিতির নাম লেখা।

আগুনে তোরণের অন্য কোনো ব্যানার বা অংশের কোনো ক্ষতি না হলেও বঙ্গবন্ধুর ছবিটির মধ্য দিয়ে লম্বালম্বি পুড়ে গেছে। আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে আজ শনিবার সকালে পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পুরো তোরণের সবকিছু অক্ষত থাকলেও শুধু বঙ্গবন্ধুর ছবিটিই পুড়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতের কোনো একসময় মোংলা পৌর শহরের ১ নম্বর জেটি এলাকায় ছবিটিতে কে বা কারা অগ্নিসংযোগ করেছে।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ১৬ জানুয়ারি মোংলা পৌরসভার ভোট গ্রহণ হবে। মেয়র পদে এখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিএনপি থেকে এখানে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান মেওর মো. জুলফিকার আলী।

ওই এলাকায় থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হয়েছে।
মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), মোংলা থানা

আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ আবদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবিতে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে তিনি সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সেখানে ওই তোরণ নির্মাণ করা হয়েছিল। সেখানে আগে থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিল। যেভাবে আগুনে ছবি পুড়েছে, তাতে মনে হচ্ছে গ্যাসলাইট দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবিটির মধ্য দিয়ে আগুনটা দেওয়া হয়েছে। যে বা যারাই জাতির জনকের ছবির অবমাননা করে এমন কাজ করেছে, শেখ আবদুর রহমান তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান বলে জানান। তবে এ ঘটনায় তিনি নির্দিষ্টভাবে কোনো ব্যক্তি, প্রার্থী বা কারও সমর্থককে ইঙ্গিত করে অভিযোগ করেননি।

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল বাহার চৌধুরী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তবে ওই এলাকায় থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো মামলা হয়নি।