মোজাম্বিকে বাঁশখালীর যুবক খুন

‘একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য বের হলাম। সবাই দোয়া করবেন। যেন কাজটা সফল হয়।’ গত শনিবার চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বলের বাসিন্দা মোজাম্বিকপ্রবাসী নুরুল ইসলামের (৩৫) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটাই ছিল শেষ পোস্ট। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
গতকাল বুধবার বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো এক জঙ্গলে নুরুল ইসলামের মাথা বিচ্ছিন্ন ও পেছনে হাত বাঁধা লাশের ছবিযুক্ত পোস্ট খুঁজে পান স্বজনেরা। তাঁর মোজাম্বিকের পেম্বা শহরে মুদির দোকান ছিল। তাঁর ছোট ভাই সাইফুল ইসলামও একই দোকানে কাজ করতেন।

নিহত নুরুল ইসলামের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন, ‘হে আল্লাহ, তুমি এ কি পরীক্ষা করলে। ৩৫ বছর নিজের জন্য কিছু করেনি। সব সময় পরিবারের জন্য করেছে। আমার ভাই মোজাম্বিকে জঙ্গিদের হাতে মৃত্যুবরণ করেছেন।’
চাম্বলের স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ রশীদ বলেন, নিহত নুরুল ইসলাম ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত। তিন বছর পূর্বে তিনি স্বজনের মুখে হাসি ফোটাতে মোজাম্বিক গিয়েছিলেন।

আরেক মোজাম্বিকপ্রবাসী এম আর মুজিব বলেন, শনিবার নুরুল মোজাম্বিকের পেম্বা শহরের কোনো এক জায়গা থেকে অপহৃত হন। স্থানীয় এক জঙ্গি সংগঠন তাঁকে অপহরণ করে। তাঁর সঙ্গে আরও সাত মোজাম্বিক নাগরিককে ওই জঙ্গি সংগঠন অপহরণ করে হত্যা করে। তিনি ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর কাজে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন।
মুজিব আরও বলেন, নিহত নুরুলের মাথা বিছিন্ন ও পেছনে হাত বাঁধা ছবি প্রকাশ করে জঙ্গিরা। কয়েক দিন ধরে পেম্বা শহরে জঙ্গিরা তাদের অপতৎপরতা বাড়িয়েছে। এখানে বাংলাদেশিসহ অনেক প্রবাসী আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।