মোটরসাইকেলে ধাওয়া করে তরুণকে হত্যা

দুপুরে মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন এক তরুণ। আরেকটি মোটরসাইকেলে তিনজন ছুটছিলেন তাঁর পেছনে। একটি সেতুতে ওঠার পরপরই পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় সামনের মোটরসাইকেলের আরোহীকে। পরে গলা কেটে ও ছুরিকাহত করে হত্যা করা হয় তাঁকে।

আজ শুক্রবার এ ঘটনা ঘটেছে বগুড়ার কাহালু উপজেলার দুর্গাপুর-জামগ্রাম সড়কের পানাই সেতুতে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত তরুণের নাম আবদুল আলিম (২২)। আটক তরুণের নাম মো. নওফেল (২৪)। তিনি পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, পাওনা টাকা নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ ছিল।

নিহত তরুণের নাম আবদুল আলিম (২২)। তিনি দক্ষিণ জামগ্রামের বুলু প্রামাণিকের ছেলে। আটক তরুণের নাম মো. নওফেল (২৪)। তিনি উত্তর দেবখণ্ড গ্রামের আবু সুফিয়ানের ছেলে। পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, পাওনা টাকা নিয়ে তাঁদের মধ্যে বিরোধ ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, আবদুল আলিম ও নওফেল পুরোনো মোটরসাইকেল বেচাকেনার ব্যবসা করতেন। তাঁদের মধ্যে টাকাপয়সার দেনা–পাওনা নিয়ে ঝামেলা ছিল। আজ বেলা দেড়টার দিকে আবদুল আলিম দুর্গাপুর বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। নওফেলসহ তিনজন আরেকটি মোটরসাইকেলে করে তাঁর পেছনে ছুটছিলেন।

পানাই সেতুতে ওঠার পর নওফেলদের মোটরসাইকেল থেকে আলিমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে আলিম ছিটকে পড়েন। পরে হামলাকারীরা গলা কেটে ও ছুরিকাহত করে তাঁকে হত্যা করে পালিয়ে যান।

জানতে চাইলে কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরপরই স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় ধাওয়া করে নওফেলকে আটক করা হয়।

ওসি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নওফেল জানিয়েছেন, আবদুল আলিমের কাছে তাঁর পাঁচ হাজার টাকা পাওনা ছিল। এই টাকা না দেওয়ায় বিরোধ তৈরি হয়। এর জের ধরে তাঁর ওপর হামলা করা হয়। হত্যাকাণ্ডে আরও দুজন ছিলেন।